Malda News: নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মোড়া হোম থেকে উধাও নাবালিকা, তুমুল চাঞ্চল্য

Malda News:জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা হোমের দায়িত্বে গাফিলতির ইঙ্গিত দিয়েছেন। জেলা শাসক নীতিন কুমার সিংহানিয়া ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

Malda News:জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা হোমের দায়িত্বে গাফিলতির ইঙ্গিত দিয়েছেন। জেলা শাসক নীতিন কুমার সিংহানিয়া ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

author-image
Madhumita Dey
New Update
IMG-20250712-WA0020

হোম থেকে উধাও নাবালিকা

Malda News: মালদার সরকারি হোম থেকে এক নাবালিকা আবাসিক পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। শনিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই রীতিমতো হৈচৈ পড়ে যায় গোটা শহর জুড়ে। আর এই ঘটনায় রীতিমতো অসস্তিতে পড়েছে জেলা প্রশাসন। 

Advertisment

মালদা শহরের বিএলআরও অফিস সংলগ্ন সরকারি ফার্ম এলাকায় রয়েছে চাইল্ড কেয়ার ইনস্টিটিউট নামক ওই সরকারি হোমটি। সমাজ কল্যাণ দপ্তরের অধীনস্থ ওই হোমটি তিনতলা বিল্ডিং বিশিষ্ট। চতুর্দিকে প্রায় ছয় ফিটের সীমানা পাঁচিল রয়েছে। এছাড়াও ওই সরকারি হোমের আনাচে-কানাচে বসানো রয়েছে সিসি ক্যামেরা। পাহারায় রয়েছে নিরাপত্তারক্ষীও। এত কড়াকড়ি থাকা সত্ত্বেও কিভাবে ১৫ বছর বয়সী এক নাবালিকা পালিয়ে যেতে সক্ষম হল, সে ব্যাপারেও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে । 

সংশ্লিষ্ট হোম কর্তৃপক্ষের কর্তব্যে গাফিলতির বিষয়টি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা। মালদার জেলাশাসক নীতিন কুমার সিংহানিয়া ইতিমধ্যে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। 

Advertisment

পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট হোমের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কুলদীপ মিশ্র কলোনির বাসিন্দা ওই নাবালিকা। তার বাবা পেশায় দিনমজুর। বাড়ির ছোট মেয়ে গত দশদিন আগে এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। এরপর ওই নাবালিকার পরিবার ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে ঘটনার একদিনের মধ্যেই ওই যুবকের বাড়ি থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। আদালতের নির্দেশ মেনেই মালদার চাইল্ড কেয়ার ইনস্টিটিউট নামক ওই সরকারি হোমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। 

 পুলিশ জানিয়েছে, ওই হোমের নিচের তলার একটি শৌচাগারের ফাঁকা ভেন্টিলেটরের অংশ দিয়ে পালাতে সক্ষম হয়েছে ওই নাবালিকা। কিন্তু ওই আবাসনের চতুর্দিকে প্রায় ৬ ফিটের পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। এরপর ঘন-জঙ্গলে ভরা। পাশাপাশি নিরাপত্তা রক্ষীও রয়েছে। তারপরেও কিভাবে এত বড় ঝুঁকি নিয়ে পালাতে সক্ষম হলো ওই নাবালিকা পানীয় প্রশ্ন উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট সরকারি ওই হোম কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদা এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মূলত নাবালিকাদের এই ধরনের ঘটনা চক্রের ক্ষেত্রেই রাখার ব্যবস্থা রয়েছে ইংরেজবাজার শহরের এই সরকারি হোমে। বর্তমানে প্রায় ৫৫ জন নাবালিকা রয়েছে এই হোমে। এদিকে সরকারি হোম থেকে মেয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পরিবারের লোকেরা। তাঁদের অভিযোগ, প্রথমে আমাদের মেয়ে বাড়ি থেকে পালালো। পরে তাকে উদ্ধার করলো পুলিশ এবং প্রশাসন। আদালতের সম্মতি নিয়ে মেয়ে ছিল সরকারি হোমে। কিন্তু সেখান থেকেও কিভাবে পালিয়ে গেল কিছুই বুঝে উঠতে পারলাম না। ওই সরকারি হোম কর্তৃপক্ষের গাফেলতি আছে বলেই ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা চাই দ্রুত মেয়ে যেন বাড়ি ফিরে আসে।

জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান অম্বরিশ চৌধুরি জানিয়েছেন, অফিসের কাজে মালদার বাইরে রয়েছি। তবে ঘটনাটি শুনেছি। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Malda