Operation Sindoor: সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা নজর কাড়া উদ্যোগ, 'অপারেশন সিন্দুরে' মন জিতল কচিকাঁচারা

Operation Sindoor: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলা থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপারেশন সিন্দুর উঠে এলো কচিকাঁচাদের যেমন খুশি সাজো প্রতিযোগিতায়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পোশাকে একদল নার্সারি স্তরের পড়ুয়ারা প্রতিযোগিতায় অপারেশন সিন্দুরের মহড়া করে দেখালেন। যা দেখে রীতিমতো হাততালি থেকে শুরু করে হইহই পড়ে গেল পুরাতন মালদায়। 

'সুপ্রিম ধমক',DA মামলায় প্রবল চাপে রাজ্য, বড় নির্দেশ শীর্ষ আদালতের

শুক্রবার ছিল পুরাতন মালদা পুরসভার সহযোগিতা নিয়ে একটি লোকসংস্কৃতি সংস্থার উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের কালচারাল অনুষ্ঠান এবং যেমন খুশি সাজো প্রতিযোগিতা। সংশ্লিষ্ট পুরসভার ৩,৪ এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিযোগীদের নিয়েই মূলত এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেখানেই কেউ সেজেছিলেন ছত্রপতি শিবাজী। আবার কেউ সেজে ছিলেন চৈতন্য মহাপ্রভু থেকে শ্রীকৃষ্ণ। একের পর এক সাজে বিভিন্ন কলাকৌশল দেখাতে শুরু করে প্রতিযোগীরা। তার মধ্যেই পুরাতন মালদা পুরসভার মঙ্গলবাড়ী এলাকার একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পড়ুয়ারা ভারতীয় সেনাবাহিনীর আদলে অপারেশন সিন্দুরের একটি মুহূর্তকে তুলে ধরে। তার সঙ্গে দেখানো হলো পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় শোকস্তব্ধ একটি পরিবারকে। খুদে শিশুদের এমন প্রচেষ্টা দেখে রীতিমতো স্যালুট জানান পুরাতন মালদার পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিভূতিভূষণ ঘোষ, শত্রুঘ্ন সিনহা বর্মা সহ অন্যান্যরা।

অপারেশন সিন্দুর স্রেফ ট্রেলার, 'পিকচার আভি বাকি হ্যায়', হুঙ্কার ভারতের

এদিন পুরাতন মালদা পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের শর্বরী এলাকায় মূলত লোকসংস্কৃতি হিসাবে গম্ভীরা উৎসবের মধ্য দিয়েই এই ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। যেখানেই উপস্থিত হয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ,  কাউন্সিলর বিভূতিভূষণ ঘোষ,  কাউন্সিলর শত্রুঘ্ন সিনহা বর্মা, পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিক শুভ্র দাস, সহ লোকসংস্কৃতি প্রেমী মানুষেরা। প্রতিযোগিতায় অন্যতম মূল আকর্ষণ ছিল সম্প্রীতি কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভারতীয় পর্যটকদের হত্যা করার করুন কাহিনী। পাশাপাশি অপারেশন সিন্দুরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর শৌর্য, পরাক্রম সাফল্যকে মেলে ধরা হয়। 

চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ বলেন, মালদা জেলায় লোকসংস্কৃতির ধারক ও বাহক হল গম্ভীরা। কবে থেকে এই উৎসব চালু হয়েছে কেউ বলতে পারবেন না। গম্ভীরার অর্থই হল মহাকাল বা শিবের আরাধনা। পৌরাণিক কাল থেকেই এই সংস্কৃতি মালদা জেলায় চলে আসছে। পরম্পরাগতভাবে সেই সংস্কৃতি এখনও বিদ্যমান। গম্ভীরা গানের মাধ্যমে আমরা শিবের কাছে গোটা পৃথিবীর মঙ্গল কামনা করি। তাঁর কাছে বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়ে সমাধানের পথ খুঁজি।

দিনে শাসক, রাতে পুলিশের হাতে চূড়ান্ত নিগ্রহ, এবার চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের নামেই মামলা দায়ের