Malda News: দুর্নীতির বিরাট অভিযোগ! উত্তাল মালদা, প্রশাসনের সামনেই হুলস্থূল

Malda News: জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানিয়েছেন , ভাঙ্গন প্রতিরোধে কাজ নিয়ে নির্দিষ্ট কোন লিখিত অভিযোগ পাই নি। তবে গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রয়েছে।

Malda News: জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানিয়েছেন , ভাঙ্গন প্রতিরোধে কাজ নিয়ে নির্দিষ্ট কোন লিখিত অভিযোগ পাই নি। তবে গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
cats

মালদা ভাঙন ঘিরে ধুন্ধুমার

Malda News: মানিকচক ব্লকের মথুরাপুরে ভাঙন রোধের কাজ নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে ঠিকাদার অধীনস্থ শ্রমিকদের ধস্তাধস্তিতে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল। বুধবার দুপুরে এই গোলমাল থেকেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই ঘটনার খবর জানতে পেরে ওই এলাকায় পৌঁছায় মানিকচক থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের সামনেই দুই পক্ষের মধ্যেই রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি হয় বলে অভিযোগ। 

Advertisment

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ফুলহার নদীর ভাঙ্গনের পর মথুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শংকরটোলা এলাকার ঘাটে ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ সম্পূর্ণ নিম্নমানের করা হচ্ছে। বালির বস্তার বদলে ফেলা হচ্ছে মাটি। এনিয়ে প্রতিবাদ করাতেই ঠিকাদারের অধীনস্থ শ্রমিকেরা গ্রামবাসীদের মারমুখি হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। আর সেই ঘটনা থেকে উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,গত সোমবার ভোরে মানিকচক ব্লকের মথুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শংকরটোলা এলাকায় ফুলহার নদীর প্রায় ১০০ মিটার ভাঙ্গনের জেরে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। এই ভাঙ্গনের জেরে ট্রাক্টর জেসিপি সহ মোট ১০ টি গাড়ি নদী গর্ভে তলিয়ে যায়। কয়েকটি পাকা বাড়িও ভেঙে পড়ে। রীতিমতো বাড়ির আসবাবপত্র সরিয়ে অন্যত্র আশ্রয়ের ব্যবস্থা নেই অসংখ্য মানুষ। 

Advertisment

এই পরিস্থিতিতে জেলাশাসকের নেতৃত্বে একটি প্রশাসনের টিম ওই এলাকার ভাঙ্গন পরিস্থিতি তদারকি করে দেখে। পাশাপাশি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে শেষ দপ্তর শংকরটোলা ঘাট এলাকায় ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ শুরু করে। আর এই ঘটনার ৩ দিনের মাথায় এই ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজের অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হচ্ছে বলে গ্রামবাসীরা প্রতিবাদে সোচ্চার হন। 

শংকরটোলা এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান শেখ, রাহুল শেখদের অভিযোগ , চোখের সামনে ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ অনিয়ম হচ্ছে দেখতে পাচ্ছি। বালির বস্তার বদলে ফেলা হচ্ছে মাটির বস্তা। তাও সেগুলি  পচা বস্তায় মাটি ভরে ফেলা হচ্ছে। বস্তায় এমনিতেই ছিড়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও আবার ডালপালা, গাছের ঝোপ জঙ্গল ঢুকিয়ে বস্তায় ভরে ফেলা হচ্ছে । সরকারি অর্থ যদি এভাবে তছরুপ করা হয়, তাহলে তো মথুরাপুরের ভাঙ্গন কোনভাবেই প্রতিরোধ করা সম্ভব না। সোমবারের ভাঙ্গনের ঘটনার পর তড়িঘড়ি কাজ শুরু করেছিল প্রশাসন। কিন্তু বুধবার সকাল থেকেই গ্রামবাসীদের নজরদারির অভাবেই এভাবেই ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজে অনিয়ম করা হয়। 

এনিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ করতে গেলে মারমুখী হয়ে ওঠে ঠিকাদারের অধীনস্থ শ্রমিকেরা। তখনই দুই পক্ষের মধ্যে গোলমাল বাঁধে। বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক গৌড় চন্দ্র মন্ডল বলেন , ভাঙ্গন প্রতিরোধে কাজ নিয়ে বরাবরই ঠিকাদারদের একটা সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। যারা সরকারি অর্থ তছরুপ করছে। গ্রামবাসীরা এই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তার ফলে এই ঠিকাদার শ্রমিকদের সাহায্য নিয়ে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করেছে। 

মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র বলেন, এগুলি সবই বিজেপির ষড়যন্ত্র । ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ নিয়ে কোথাও কোনও অনিয়মের অভিযোগ নেই। সেচ দপ্তর যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এই কাজ করছে। জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানিয়েছেন , ভাঙ্গন প্রতিরোধে কাজ নিয়ে নির্দিষ্ট কোন লিখিত অভিযোগ পাই নি। তবে গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রয়েছে।

উৎসবের মরশুম শুরুর মুখে বাম্পার খবর! বর্ধমান-কাটোয়া রুটে আরও ট্রেন

Malda