Malda Migrant Labour Killed: কেরলে নির্মাণকাজ করতে গিয়ে ভেঙে পড়া পুরনো বাড়ির কংক্রিটের দেওয়ালের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হল মালদার তিন পরিযায়ী শ্রমিকের। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকাল সাতটা নাগাদ, কেরলের ত্রিশূর জেলার কোডাকারা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তিন শ্রমিক হলেন রবিউল ইসলাম (২১), রবিউল শেখ (১৯) ও আব্দুল আলিম (৩১)। এঁদের মধ্যে প্রথম দু’জনের বাড়ি বৈষ্ণবনগর থানার হাজিপুর গ্রামে এবং আব্দুল আলিমের বাড়ি গোবর্ধনটোলা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে মালদার বৈষ্ণবনগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০ জন শ্রমিক কেরলে গিয়েছিলেন নির্মাণকাজের উদ্দেশ্যে। তাঁরা কোডাকারা এলাকার একটি পুরনো বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন। এদিন সকালে হঠাৎই ওই বাড়ির একটি অংশের কংক্রিটের দেওয়ালে ফাটল দেখা দেয়। তখন আতঙ্কে শ্রমিকরা পালানোর চেষ্টা করেন।
মৃত রবিউল ইসলামের দাদা মহম্মদ বাইরুল শেখ, যিনি ওই বাড়িতেই ছিলেন, মোবাইলে জানিয়েছেন, “ঘুমের মধ্যেই হঠাৎ দেওয়াল ফাটার আওয়াজ পেয়ে সবাই দৌড়ে পালাতে শুরু করে। আমি ও কিছুজন পিছনের সিঁড়ি দিয়ে নামছিলাম, কিন্তু আমার ভাই এবং আরও দুইজন সামনের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসার চেষ্টা করে। সেই সময় ভেঙে পড়ে কংক্রিটের দেওয়াল।”
স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা ওই তিন শ্রমিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মালদার বৈষ্ণবনগরের হাজিপুর ও গোবর্ধনটোলায় নেমে আসে শোকের ছায়া। শোকাহত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছেন বৈষ্ণবনগরের তৃণমূল বিধায়ক চন্দনা সরকার। তিনি বলেন, “মৃত শ্রমিকদের পরিবারকে সবরকম সাহায্য করা হবে। কেরল প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেহ ফেরানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ব্যবস্থাও করা হবে।”
মৃত আব্দুল আলিমের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মেরিনা খাতুন কান্নাজড়িত গলায় বলেন, “আমি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ি রয়েছেন। সংসারের জন্য স্বামী ভিন রাজ্যে গিয়েছিলেন। একটা দুর্ঘটনায় সব শেষ হয়ে গেল। এখন কিভাবে চলব, কিছুই বুঝতে পারছি না।”
এই ঘটনার পর মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদেহ দ্রুত মালদায় পাঠানোর জন্য কেরল সরকারের সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে।