১৪ বছর আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন বাড়ি থেকে। দীর্ঘ সন্ধানের পরেও মেলেনি খোঁজ। বাড়ির লোক ভেবেছিলেন তাঁদের মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে হয়তো আর বেঁচে নেই। কিন্তু দীর্ঘ ১৪ বছর পর সেই ছেলের খোঁজ মিলল প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে। ফেসবুকের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া ছেলের খোঁজ পেয়ে তাজ্জব পরিবারের লোকেরা। ভিডিওকলে ছেলের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না দিদি। এখন কীভাবে বাংলাদেশ থেকে ছেলেকে ফিরিয়ে আনবেন, তা নিয়ে চিন্তায় ঘুম উড়েছে পরিবারের। তাঁরা দ্বারস্থ হয়েছেন প্রশাসনের।
মালদার চাঁচল এক নং ব্লকের গালিমপুরের বাসিন্দা নাজিমুল হক। জন্মের পর থেকেই তিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। মাঝেমধ্যেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেন তিনি। কিছুদিন পর ফের ফিরে আসতেন নিজের বাড়িতে। কিন্তু প্রায় ১৪ বছর আগে একদিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আর ফিরে আসেনি নাজিমুল। বাবা মারুফ আলি অনেক জায়গায় খোঁজ করেছিলেন। কিন্তু কোনও খোঁজ না পেয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন।
ছেলে আদৌ বেঁচে আছে কিনা সেই নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। কিন্তু দু'দিন আগে পরিবারের লোকেরা প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খোঁজ পান নিখোঁজ ছেলের। প্রতিবেশীরা তাঁদের জানান, ১৪ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া নাজিমুলের ছবি দেখেছেন ফেসবুকে। বাংলাদেশের এক সমাজকর্মী তাঁর ছবি পোস্ট করেছেন পরিচয় জানার জন্য। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশেই রয়েছেন।
আরও পড়ুন- Kolkata News Live Update:শহরে রাতের আকাশে চক্কর রহস্যময় ড্রোনের? তোলপাড় কাণ্ডে শোরগোল
ফেসবুকে পোস্ট করা ছবি দেখে নাজিমুলকে শনাক্ত করেন পরিবারের লোকেরা। তারপর সেই সমাজকর্মীর সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ করেন পরিবারের লোকেরা। সমাজকর্মীর মাধ্যমে এদিন ছেলের সঙ্গে ভিডিওকলে কথা বলেন তাঁরা। নাজিমুলের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না তাঁরা। এরপরেই ছেলেকে বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন বাবা মারুফ আলি।
আরও পড়ুন- Kolkata Metro:মেট্রোযাত্রীরা সতর্ক হোন আজই! না হলে স্টেশনেই দিতে হবে মোটা টাকা জরিমানা
চাঁচল থানা এবং মালদা জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করছেন ছেলেকে ফেরত পাওয়ার জন্য। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে বর্ডার পেরিয়ে বাংলাদেশে গেলেন নাজিমুল হক? সেখানে কোথায় কী পরিস্থিতিতে ছিলেন এতদিন? আর এখন তাঁকে বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার কী নিয়ম রয়েছে? এমন অজস্র প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে নাজিমুলের গ্রামে।