Malda murder: স্ত্রীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করেছিলেন স্বামী। আর তারই প্রতিশোধ নিতে পথের কাঁটা স্বামীকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মালিওর এলাকায়। মৃতের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসতেই স্ত্রীর কুকর্মের পরদা ফাঁস হয়েছে। আর, তারপরই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরে। অভিযুক্ত স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ধৃত ওই মহিলাকে চাঁচোল মহকুমা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৪ অগাস্ট হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত মালিওর এলাকার বাসিন্দা সুফল সাহার (৩৭) মৃতদেহ উদ্ধার হয় তাঁর বাড়ি থেকে। তাঁর স্ত্রী আশা সাহা দাবি করেন, কলের পাড়ে পড়ে গিয়ে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, মৃতদেহ দেখে পুলিশের মনে খটকা বাঁধে। তাই অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলা রুজু করে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসতেই কীর্তিবান স্ত্রীর মিথ্যাচারের পরদা ফাঁস হয়। আর, তারপরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গলা টিপে খুন করা হয়েছে
পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে- সুফলবাবুকে গলা টিপে খুন করা হয়েছে। সুফলের পরিবারের লোকেরাও জানতেন, তাঁর স্ত্রী পরকীয়া করেন। আর, তাঁদের ঝগড়া-বিবাদের কথাও সবারই জানা ছিল। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের কথা জানতে পারার পর তাঁদের কাছে গোটা ঘটনা স্পষ্ট হয়ে যায়। আশা সাহার বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুরে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুফলের দাদা জ্যোতিষ সাহা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার রাতে আশাকে গ্রেফতার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন- উপচে পড়ছে খাবার, 'আর পাঠাবেন না, নষ্ট হবে', সাধারণ মানুষকে আবেদন জুনিয়র ডাক্তারদের
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে শুক্রবার অভিযুক্তকে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশের অনুমান, একা ওই মহিলার পক্ষে তাঁর স্বামীকে খুন করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে তাঁর প্রেমিক বা অন্য কেউ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। সেজন্যই, অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ সত্যি ঘটনাটা জানতে চাইছে। অন্যদিকে মৃতের দাদা জ্যোতিষ সাহার দাবি, সুফল ও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি দীর্ঘদিনের। বাড়িতে দুই নাবালক সন্তান থাকতেও ওই মহিলা পরপুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তাঁর ভাই এই পরকীয়ায় পথে কাঁটা ছিল। তাই তাঁকে এইভাবে খুন করা হল বলেই জ্যোতিষ সাহার দাবি। ঘটনায় দোষী বা দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবারের লোকেরা।