Malda Snakebite: ঝাড়ফুঁকে বাঁচানো গেল না প্রাণ, কালিয়াচকে বিষধর সাপের কামড়ে মৃত্যু মহিলার, ওঝার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
কালিয়াচকের সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুনগ্রামে ওঝার ‘ঝাড়ফুঁকের’ কেরামতিতে নির্ভর করে প্রাণ হারালেন এক সাপে-কাটা রোগী। বুধবার রাতে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত মহিলার নাম নাজিরা বিবি (৫০)। অভিযোগ, ওঝা রহমত আলীর ঝাড়ফুঁকে ভরসা করায় তাঁর প্রাণ গেল। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার পরিবার।
কীভাবে ঘটল ঘটনা?
বুধবার বিকালে নিজের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন নাজিরা বিবি। সেই সময় একটি বিষধর সাপ তাঁকে পায়ে কামড় দেয়। প্রচণ্ড যন্ত্রণা শুরু হলে পরিবারের লোকেরা তাঁকে সরকারি হাসপাতালে না নিয়ে, গ্রামেরই ওঝা রহমত আলীর কাছে নিয়ে যান।
পরিবার সূত্রে খবর, রাতভর ওই ওঝা বিভিন্ন মন্ত্র পড়ে ঝাড়ফুঁক করতে থাকে। কিন্তু মহিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। অভিযোগ, পরিস্থিতি খারাপ দেখে ওঝা রহমত আলী পালিয়ে যায়। পরে রাতে তাঁকে মালদা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতার পুত্রবধূ হাসিনা বিবি বলেন, “শাশুড়িকে সাপে কামড়ানোর পর আমরা ভয়ে পেয়ে যাই। কেউ একজন ওঝা রহমত আলীর কথা বলায় আমরা তাঁকে নিয়ে যাই। ঘন্টাখানেক ঝাড়ফুঁক চলে, কিন্তু কিছুই কাজ করেনি। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলেই জানায়।”
এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের মালদা শাখাও। সংগঠনের কর্মকর্তা সুনীল দাস বলেন, “সচেতনতা ছাড়া এই ধরনের মৃত্যু থামানো সম্ভব নয়। ঝাড়ফুঁক, তুকতাকে কোনও কাজ হয় না। সাপে কাটলে দ্রুত সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলেই প্রতিষেধক পাওয়া যায়।” ওই ওঝার বিরুদ্ধে কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে, অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।