Wonder Kid: জাতীয় পতাকা, যে কোনও ধরনের ফুল-ফল এবং বিভিন্ন দেশের মানচিত্র এমনকী বাদ্যযন্ত্রের ছবি দেখালেই অনর্গল বলে দিতে পারে আড়াই বছরের একরত্তি মেয়ে তিথি ঘোষ। খুদেকন্যার এমন বিরল প্রতিভা দেখেই শেষমেশ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস তাকে সেরার সেরার স্বীকৃতি এনে দিয়েছে।
পুরাতন মালদা পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের খৈহাট্টা এলাকার বাসিন্দা শিশু কন্যা তিথি ঘোষ। ইতিমধ্যেই তার কাছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের পুরস্কার পৌঁছেছে। ছোট্ট শিশু তিথির এমন প্রতিভার কথা জানতে পেরে রীতিমতো হতবাক পাড়া-প্রতিবেশীরাও।
উল্লেখ্য, পুরাতন মালদা পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের খৈহাট্টা এলাকায় তিথির বাড়ি। তার বাবা রনি ঘোষ পেশায় ব্যবসায়ী। মালদা শহরের নেতাজি মার্কেটে তাঁর দোকান রয়েছে। মা কাজরী ঘোষ গৃহবধূ। সম্প্রতি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের তরফে দেশ জুড়ে ট্যালেন্ট সার্চ হয়েছিল। গত ১৪ জুন অনলাইনে সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় তিথি। প্রতিযোগিতায় তাকে নয় ধরনের প্রশ্ন করা হয়। তার মধ্যে ছিল বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের নাম, ফুল, পশু, জাতীয় পতাকা, জাতীয় ফুল, বিভিন্ন ধরনের শাকসবজির নাম ইত্যাদি।
আরও পড়ুন- নিপুণ হাতের আলতো ছোঁয়ায় অসামান্য নজির! নকশিকাঁথায় অনন্য কীর্তি প্রৌঢ়ের
প্রতিটি প্রশ্নেরই সঠিক উত্তর দেয় তিথি। গত ৫ জুলাই তিথির বাবাকে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের তরফে জানানো হয়, তাঁর মেয়ে প্রতিযোগিতায় সফল হয়েছে। তার নাম ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে উঠেছে। ইতিমধ্যে পার্সেলের মাধ্যমে নিজের পুরস্কারও পেয়ে গিয়েছে তিথি।
ওই শিশু কন্যার বাবা রনি ঘোষ জানিয়েছেন, মেয়ের একটি ভিডিও তাঁরা ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে পাঠিয়েছিলেন। ওই ভিডিও দেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ খুশি হয়। এরপর তারা আবার মেয়ের পরীক্ষা নেয়। মেয়ে কী কী পারে তা জানতে ফের পরীক্ষা নেওয়া হয়। এবার ওকে পাঁচটি দেশ, ফল, খেলার নাম বলতে বলা হয়। মেয়েকে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় মাসের নাম, সপ্তাহের নামও জিজ্ঞেস করা হয়। সেই পরীক্ষায় মেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
রনি বলেন, "মেয়ে তার উপহার, মেডেল সব পেয়েছে। মেয়ের এই সাফল্যে আমরা খুব খুশি। ছোট্ট কন্যার মা বলেন, "মেয়েকে প্রথমে ৯ ধরনের প্রশ্ন করা হয়। যার মধ্যে বিভিন্ন দেশের জাতীয় পতাকা ফল ফুল পশু মানচিত্র এগুলি ছিল। ও প্রতিটি প্রশ্নেরই সঠিক উত্তর দিয়েছে। তার কিছুদিন পর ওর মেডেল, শংসাপত্র সহ উপহারসামগ্রী কুরিয়্যর সার্ভিসের মাধ্যমে হাতে পেয়েছি। এত অল্প বয়সে এই জেলায় এখনও পর্যন্ত কেউ এই সম্মান পায়নি।"