Malda News: দিল্লি থেকে প্রাণভয়ে টাকা না নিয়েই ফিরতে বাধ্য হয়েছিলেন মালদার চাচোল এলাকার পরিযায়ী শ্রমিক বিনোদ ঋষি। আর সেই কারণেই তার বড় মেয়ের বিয়ে প্রায় বাতিল হতে বসেছিল টাকার অভাবে। ঠিক সেই সংকটের মুহূর্তে দেবদূতের মতো পাশে দাঁড়ালেন মালদা জেলা পরিষদের তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি বুলবুল খান।
বৃহস্পতিবার রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের শামুখা এলাকায় সম্পন্ন হয় ওই শ্রমিকের মেয়ের বিয়ে। বিয়ের সমস্ত খরচ, কনে সাজানো, ব্যান্ড পার্টি, এবং প্রায় দেড়শো আমন্ত্রিত অতিথির ভুরিভোজ— সবকিছুই নিজের উদ্যোগে করলেন বুলবুল খান।
কী বলছেন বিনোদ ঋষি?
তিনি জানান, ২৪ হাজার টাকার চুক্তিতে সাত মাস আগে দিল্লিতে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে গিয়েছিলেন। দু'মাসের টাকা পেলেও বাকি টাকা রেখে এসেছিলেন মেয়ের বিয়ের জন্য। কিন্তু দিল্লিতে বাংলাদেশি সন্দেহে বাঙালিদের ধরপাকড় শুরু হলে প্রাণভয়ে তিনি টাকা ছাড়াই গ্রামে ফিরে আসেন। বিনোদ বলেন, "পাঁচদিন আগে বাড়ি ফিরি। অনেক চেষ্টা করেও বিয়ের খরচ জোগাড় করতে পারিনি। তখনই বুলবুল খানদা এগিয়ে এসে সব ব্যবস্থা করেন।"
সম্প্রীতির বার্তা
বুলবুল খান জানান, “একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এটাই আমার দায়িত্ব। ধর্ম-বর্ণ নয়, মানবতা বড়। পরিযায়ী শ্রমিক বিনোদের মেয়ের বিয়েতে সমস্ত আয়োজন করেছি যাতে সমাজে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছানো যায়।”
তৃণমূল জেলা সভাপতির প্রতিক্রিয়া
জেলা তৃণমূল সভাপতি ও বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, “রাজ্যে সম্প্রীতির ঐক্য কতটা গভীর, তা প্রমাণ করলেন বুলবুল খান। মানবিকতার এই নজিরকে আমরা কুর্নিশ জানাই।”