Bangladeshi Actress Arrested: আবারও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর খোঁজ মিলল কলকাতায়। এইবার ধরা পড়লেন বাংলাদেশি মডেল ও অভিনেত্রী শান্তা পাল। অবৈধভাবে ভারতে থাকার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি-রাউডি স্কোয়াড। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করার অভিযোগও উঠেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তা পাল (বয়স ২৮), বাংলাদেশের বরিশালের বাসিন্দা। তিনি কলকাতার বিক্রমনগরে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ২০২৩ সাল থেকেই তিনি ওই ঠিকানায় থাকতেন বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। শান্তার কাছ থেকে দুটি আধার কার্ড, একটি ভোটার আইডি এবং একটি রেশন কার্ড মিলেছে। এই সমস্ত পরিচয়পত্র ভুয়ো এবং বিভিন্ন ঠিকানার ভিত্তিতে তৈরি বলে জানিয়েছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে বর্ধমানের ঠিকানার একটি আধার কার্ডও।
তল্লাশির সময় ধৃতের কাছ থেকে আরও মিলেছে—বাংলাদেশ মাধ্যমিক বোর্ডের অ্যাডমিট কার্ড, বাংলাদেশি এয়ারলাইন্স সংস্থার পরিচয়পত্র, একাধিক বাংলাদেশি পাসপোর্ট। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ভারতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করার জন্যই এত ভুয়ো নথি তৈরি করেছিলেন ওই অভিনেত্রী।
ধৃত শান্তা পালের দাবি, তিনি বাংলাদেশে একাধিক বিউটি কনটেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন। এমনকি ২০১৯ সালে কেরলে অনুষ্ঠিত 'মিস এশিয়া গ্লোবাল' প্রতিযোগিতাতেও অংশ নিয়েছিলেন বলে। শান্তা নিজে একাধিক বাংলা ও দক্ষিণী ভাষার চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন বলেও দাবি করেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) শান্তা পালকে কলকাতার লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগের অফিসাররা গ্রেফতার করেন। তাকে বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। আদালত ৮ আগস্ট পর্যন্ত শান্তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শান্তা ভারতে থাকার জন্য বৈধ ভিসা দেখাতে পারেননি। কীভাবে তিনি আধার ও ভোটার কার্ড সংগ্রহ করলেন তা নিয়ে এখন তদন্ত চলছে। পুলিশ UIDAI-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এই নথিগুলির উৎস জানার জন্য।এছাড়াও শান্তার স্বামী সম্পর্কেও তদন্ত শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, অ্যাপ ক্যাবের ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি।
ধৃত বাংলাদেশি মডেল-অভিনেত্রী শান্তা পালের কাছে মিলেছে একটি আধার কার্ড যাতে রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের ঠিকানা। পূর্ব বর্ধমানের বড়শুল ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপাল পুর গ্রামের রজডাঙ্গা। আধার কার্ডের ঠিকানায় লেখা আছে শান্তা পাল, গ্রাম গোপালপুর,রজডাঙ্গা, প্রযত্নে স্বপন পাল। ২০২০ সালে সেই আধার কার্ড ইস্যু হয় বলে জানতে পারেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
তবে গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা জানান শান্তা পাল নামে কোন মহিলাকে তারা চেনেন না। রজডাঙ্গা পাড়ায় মূলত তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষজনের বসবাস। একই কথা বলেন বড়শুল ২ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান রমেশচন্দ্র সরকার। তিনি বলেন, এই নামে তাদের এখানে কোন নাম নেই ভোটার তালিকায়।