Malda News: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির ছবিতে ছয়লাপ হল হরিশ্চন্দ্রপুর। ছবির নিচে লেখা হল ‘রাজ্যের গদ্দারের সঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুরের গদ্দার। গদ্দার হটাও তৃণমূল বাঁচাও।' সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ছবি ভাইরাল হয়েছে। পাশাপাশি হরিশ্চন্দ্রপুরের বিভিন্ন দেওয়ালে পোস্টারে ছেয়েছে ওই ছবি। তৃণমূলের খেয়ে পরে, চেয়ার দখল করে সঞ্জীব বিজেপির দালালি করছেন বলে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অনেকেই।
তাঁকে সরাসরি গদ্দার বলে নিশানা করে দল থেকে সরানোর দাবিও উঠতে শুরু করেছে। সঞ্জীব অবশ্য এই ছবি নিয়ে নোংরা রাজনীতি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন। যদিও বিজেপির দাবি, এটা তো সবে ট্রেইলার। ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের অনেক বড় নেতাই বিজেপিতে আসার জন্য লাইন দিয়ে রয়েছেন। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তার ছবি ঘিরে এই বিতর্ক।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি ঘরে সোফায় বসে রয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।তার পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তৃণমূল নেতা সঞ্জীব গুপ্তা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ছবি ভাইরাল হতে শুরু করে। যাঁরা ছবি পোস্ট করেন, তাঁদের অধিকাংশই তৃণমূলের নেতা-কর্মী। ছবির নিচে সঞ্জীবকে গদ্দার বলেও সন্মোধন করা হয়েছে। গদ্দার হটাও, তৃণমূল বাঁচাও বলেও লেখা রয়েছে ছবির নিচে। শুধু ফেসবুকেই নয়, সেই ছবি পোস্টারের আকারে ছড়িয়ে পড়ে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার বিভিন্ন পাড়ার দেওয়ালে, চায়ের দোকানে।
সঞ্জীবের বিপক্ষ গোষ্ঠীর নেতারাই এমনটা করেছেন বলে দাবি করেছেন সঞ্জীব অনুগামীরা। অপর দিকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে সঞ্জীবের অবশ্য দাবি, 'শুভেন্দু অধিকারী একসময় তৃণমূলে ছিলেন। আমরা একসঙ্গে দল করেছি। ফলে তাঁর সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল। আমি পরিবার নিয়ে ঘুরতে গিয়ে একটি হোটেলে ছিলাম। সেখানে শুভেন্দুবাবুও ছিলেন। আমাকে দেখে উনিই আমাকে ডাকেন। একসঙ্গে চা খাই। এটা তো সৌজন্যের রাজনীতি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণের পর আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও তো বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে গিয়ে ছিলেন। তা বলে কি উনি সিপিএম হয়ে গেলেন। আসলে এই ছবিকে নিয়ে কিছু মানুষ নোংরা রাজনীতি করতে আসরে নেমেছে।'
আরও পড়ুন 'দাঁত ভেঙে দেব-জিভ টেনে ছিঁড়ে দেব', উপনির্বাচনে জিততেই বিরোধীদের হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার
বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য কিষান কেডিয়া বলেন, 'এটা তো সবে ট্রেলার। ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের অনেক বড় নেতাই বিজেপিতে আসার জন্য লাইন দিয়ে রয়েছেন।'