Malda TMC Leader Murder Case: দলমত নির্বিশেষে মালদায় বিপুল জমায়েতের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হল নিহত তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার ওরফে বাবলার শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান। রবিবার দুপুরে মালদা শহরের রামকৃষ্ণপল্লির মাঠে এই শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্য তৃণমূলের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার, রাজ্যের বস্ত্র দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী তাজমুল হোসেন, মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা বর্মন ঘোষ, জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সি ,আরেক বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র-সহ বিশিষ্ট জনেরা। শুধু তাই নয়, শাসকবিরোধী কংগ্রেস ও বিজেপির জেলার প্রথম সারির বেশ কিছু নেতারাও এদিন মৃত বাবলা সরকারের শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন।
এদিন জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে এক মঞ্চেই উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালীসাধন রায় এবং বিজেপির দক্ষিণ মালদার সভাপতি পার্থসারথী ঘোষ। কয়েক মিনিটের জন্য রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে নিহত তৃণমূল কাউন্সিলরের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায় শাসক এবং বিরোধী শিবিরের নেতা মন্ত্রীদের। এদিন এই শ্রদ্ধাঞ্জলি কর্মসূচিতে উপস্থিত নিহত তৃণমূল নেতা বাবলা সরকারের স্ত্রী চৈতালি সরকারকেও সমবেদনা জানান শাসক ও বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা।
এদিনের এই শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে ইংরেজবাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ড-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকেও বহু মানুষ এসে ভিড় করেছিলেন। শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের শেষে রাজ্য তৃণমূলের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'দলমত নির্বিশেষে সবাই এদিন এই শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে সামিল হয়েছিলাম। বাবলা সরকার জনপ্রিয়তা যে কতটা ছিল তাই এদিনের মানুষের ভিড়ই বুঝিয়ে দিয়েছে। সকলের কাছেই কাছের লোক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন বাবলা সরকার। তাঁকে এভাবে হারাব ভাবতেই পারছি না। ওঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা রয়েছে।'
জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সি বলেন, 'বাবলা সরকার সারা জীবন আমাদের শ্রদ্ধেয় একজন মানুষ হিসাবে থাকবেন।' এদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বয়সী মানুষেরা এসেছিলেন। সকলেই বাবলা সরকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এদিন জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই শ্রদ্ধাঞ্জলি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন ফরাক্কা স্টেশন থেকে হঠাৎ উধাও, ৮ দিন পর ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর পচাগলা দেহ উদ্ধার, রহস্যমৃত্যুর তদন্তে পুলিশ
বিজেপির দক্ষিণ মালদার সভাপতি পার্থসারথি ঘোষ বলেন, 'রাজনীতির বাইরে বাবলা সরকার ছিলেন একজন ভালবাসার মানুষ। খুবই মিশুকে মানুষটাকে এরকমভাবে হারাতে হবে ভাবতেই পারছি না। ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি।' জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি কালীসাধন রায় বলেন, 'রাজনীতির বাইরে বাবলা সরকার নানান সামাজিক গঠনমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। বহু মানুষকে সবসময় সাহায্য করেছে। ওঁকে হারিয়ে আমরা সকলেই শোকাহত।'
উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি মহানন্দাপল্লিতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা দলের জেলা সহ-সভাপতি বাবলা সরকার। এই ঘটনার পর পুলিশ এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।