/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/02/TMC-Flag.jpg)
TMC Leader arrested: অস্ত্র-সহ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য রেলপুলিশের জালে
TMC Leader arrested: অস্ত্র-সহ গ্রেফতার তৃণমুল নেতা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জিআরপি। মালদা জেলার পার্শ্ববর্তী মুর্শিদাবাদের নিউ ফরাক্কা জিআরপির হাতে নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের অন্যতম মূল পাণ্ডা।
জিআরপি সুত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ওই ব্যক্তির নাম আবদুল রশিদ(৩২)।তিনি মালদা জেলার বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পারদেওনাপুর শোভাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বৈদ্যনাথপুর এলাকার বাসিন্দা। শনিবার রাতে বাড়ি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ফরাক্কা জিআরপি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত মাসে ২৭ তারিখ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ফরাক্কার নিউ ফরাক্কা স্টেশন চত্তর থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, চারটি ম্যাগজিন-সহ তৌসিফ আলি (২৪) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল ফরাক্কার নিউ ফরাক্কার জিআরপি।তারপর তৌসিফ আলিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর জানতে পারে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া এই গ্রাম পঞ্চায়েত মেম্বার আবদুল রশিদ তৌসিফ আলির মাধ্যমে পাটনা উদ্দেশ্য দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, চারটি ম্যাগজিন পাচার করতে পাঠাচ্ছিল কিন্তু পাচারের আগেই ফরাক্কার জিআরপির হাতে গ্রেফতার হয়। গ্রেফতারের পর লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদে পর আবদুল রশিদের নাম প্রকাশ করে অভিযুক্ত। তারপর আবদুল রশিদকে শনিবার রাতে বাড়িতে থেকে গ্রেফতার করা হয়।এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
জেলা কংগ্রেসের নেতা ভূপেন্দ্রনাথ হালদার বলেন, 'ওই ব্যক্তি কংগ্রেসের টিকিটে জিতলেও কিছুদিনের মধ্যেই তৃণমূলে যোগদান করছিল।বর্তমানে তিনি তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য।ফলে ওই দল সম্পর্কে সবাই জানে। যা হওয়ার তাই হচ্ছে।'
আরও পড়ুন প্রবল বিস্ফোরণ, ঝলসে গেলেন যুবক, প্রশ্নের মুখে সিভিক ভলান্টিয়ারের ভূমিকা
বিজেপি দক্ষিণ মেলা সংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, 'কংগ্রেস ও তৃণমূল মুদ্রার এপিট আর ওপিঠ। মালদা জেলার ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে অস্ত্র আমদানি করা হয় সেই অস্ত্র যে বাইরে পাচার করা হয় আর এর সঙ্গে শাসক দলের নেতারা যে যুক্ত আমরা অনেকদিন আগে থেকেই এই অভিযোগ করে আসছি। রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা জিআরপি একে গ্রেফতার করেছে। এর থেকে প্রমাণ হয়ে যায় আমরা যে অভিযোগ করছিলাম সেটা সঠিক।'
জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, 'কে কী অপরাধ করবে তার দায়ভার তৃণমূল কংগ্রেস নেবে না। আইন আইনের পথে চলবে। এই রাজ্যে আইনের শাসন রয়েছে।'