Sainthia Blast: সাঁইথিয়ায় প্রবল বিস্ফোরণ। বেলুনে গ্যাস ভরতে গিয়ে সিলিন্ডার ফেটে মৃত এক। ঘটনার জেরে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে তুমুল চাঞ্চল্য। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়ি ভাংচুর চালায় গ্রামবাসীরা। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে বিস্ফোরণের জেরে ভেঙে গিয়েছে বাড়ির কাঠের জানলা, দরজা।
ভয় ধরাচ্ছে রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি, চলতি মাসে আক্রান্তের পরিসংখ্যান বুক কাঁপিয়ে দেবে
গ্রামবাসীদের দাবি বাড়িটি স্থানীয় থানার সিভিক ভলান্টিয়ার দুর্গাপ্রসাদ ভট্টাচার্যের। সেখানেই বেআইনি ভাবে চলত বেলুনে গ্যাস ভরার কাজ। এদিন দুপুরে ঘটনার পরই তার বাড়ির সামনে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। বেলুনে গ্যাস ভরার কোন লাইসেন্স ছিল না দুর্গাপ্রসাদের বলেও সরব হয়েছে গ্রামবাসীরা। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছালে সিভিক ভলান্টিয়ারকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানান গ্রামবাসীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করেও ইট-পাথর ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ।
শিয়ালদার কাছে বিরাট অস্ত্রভান্ডারের হদিস, হানা দিতেই চোখ কপালে, তদন্তে কলকাতা পুলিশ
বেআইনি ভাবে বেলুনে গ্যাস ভরার অভিযোগ উঠেছে সিভিক ভলান্টিয়ার দুর্গাপ্রসাদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে রবিবার দুপুরে স্থানীয় এক যুবক পেশায় রাজমিস্ত্রি বিপত্তাড়ন বাগদীকে সঙ্গে নিয়ে বেলুনে গ্যাস ভরছিলেন দুর্গাপ্রসাদ। অসাবধনতা বশত প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। মৃত্যু হয় বিপত্তাড়নের। অভিযুক্ত দুর্গাপ্রসাদের বাড়ি ঘিরে ঘরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা।
নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের অনুষ্ঠানে ডাক অভিষেকের, 'আরজি কর মনে আছে তো'? খোঁচা দিলীপের
জানা গিয়েছে বাড়িতেই আটকে রয়েছেন দুর্গাপ্রসাদ। পুলিশ ও স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সামনেই চলে বিক্ষোভ। গ্যাস বেলুনের ব্যবসা করার কোনও লাইসেন্স ছিল না দুর্গাপ্রসাদের কাছে বলে অভিযোগ। বিপত্তাড়নের স্ত্রী গোটা ঘটনায় দুর্গাপ্রসাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি জানান,বিপত্তাড়ন রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন। তাকে এদিন ফোন করে ডেকে আনেন দুর্গাপ্রসাদই। মৃত বিপত্তাড়নের পরিবারের যাবতীয় দুর্গাপ্রসাদকে নিতে হবে বলেও দাবি জানান তিনি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কাদের আলি খান।