Success Story: এই প্রথম মালদা জেলা থেকে মাত্র ১৪ বছর বয়সেই জাতীয়স্তরের যোগা প্রতিযোগিতায় সোনার পদক পেল ঋতিকা সেনগুপ্ত। পুরাতন মালদা পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাচামারি এলাকার বাসিন্দা, ইন্দ্রদেব সেনগুপ্তের একমাত্র মেয়ে ঋতিকা সেনগুপ্ত। পুরাতন মালদা পুরসভার জে.কে. হাইস্কুলে নবম শ্রেণীতে পাঠরত ওই ছাত্রী। ২০ সেপ্টেম্বর অসমের গুয়াহাটিতে জাতীয়স্তরের যোগা মিটে ৭০০ জন প্রতিযোগীর মধ্যে সোনা পেয়ে রীতিমতো চমকে দিয়েছে ছাত্রী ঋতিকা সেনগুপ্ত।
এই বছর ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর অসমে দুই দিন ব্যাপী জাতীয়স্তরের যোগা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৭০০ জন প্রতিনিধি বিভিন্ন রাজ্য থেকে অংশ নিয়েছিলেন। ১৪ বছর বয়সী ইভেন্টে মালদা জেলার হয়ে অংশ নিয়েই সোনা পেয়ে বাংলার নাম গর্বিত করেছে ঋতিকা সেনগুপ্ত। তাঁর বাবা ইন্দ্রদেব সেনগুপ্ত একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। মা অর্পিতা সেনগুপ্ত গৃহবধূ।
ঋতিকার বাবা ইন্দ্রদেব সেনগুপ্ত বলেন, "খুব অল্প বয়স থেকেই যোগার প্রতি আগ্রহ রয়েছে মেয়ের। মালদার পাশাপাশি কলকাতাতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শিবিরে গিয়ে অনুশীলন করে আমার মেয়ে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছিলেন জাতীয় যোগা মিটে। সেখানেই আমার মেয়ে স্বর্ণপদক পেয়ে সাফল্য অর্জন করেছে।"
আরও পড়ুন- Bengal Weather: মহালয়ায় ঝড়বৃষ্টি না রোদ ঝলমলে আকাশ? পুজোর আগে কেমন থাকবে আবহাওয়া জেনে নিন
আরও পড়ুন- Kolkata Metro Durga Pujo Timing: চতুর্থী থেকে ত্রয়োদশী কতক্ষণ পর্যন্ত চলবে ট্রেন, পুজোর বাম্পার ঘোষণা মেট্রোরেলের
আরও পড়ুন- Junior Doctors Protest: রাজ্যজুড়ে ফের পূর্ণ কর্মবিরতি, ৮ ঘণ্টা জিবি বৈঠকের পর ঘোষণা জুনিয়র ডাক্তারদের
নিজের বাড়িতে বসে ছাত্রীর ঋতিকা সেনগুপ্ত বলেন, "এর আগে একাধিক বার রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক পেয়েছি। বাবা-মা খুব কষ্ট করে পড়াশোনার পাশাপাশি যোগা প্রশিক্ষণে পাঠ দিয়েছেন। এই পুরস্কার তাদের উদ্দেশ্যেই আমি অর্পণ করেছি। আগামীতে এশিয়ান গেমস এবং কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নেওয়াটাই হচ্ছে আমার এখন মূল লক্ষ্য। তার জন্যই পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন ভাবে কোচিং সেন্টারগুলিতে গিয়ে যোগা প্রশিক্ষণ নিচ্ছি।"