এবার সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম প্রথায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের অভিযোগে সোচ্চার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকার গোটা বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মুখ্যমন্ত্রীর এই আশঙ্কার তীব্র সমালোচনা করে পাল্টা সোচ্চার বিজেপিও। 'বারবার তিনি কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক নষ্ট করছেন।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধনা করে মন্তব্য বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার।
বিচারপরতি নিয়োগ ইস্যুকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট ও কেন্দ্রীয় সরকারের মতানৈক্য নিয়ে এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা, কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন পরিকল্পনা নেওয়ার পিছনে নিশ্চই কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে। বিচার ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ কখনই কাম্য নয় বলে সোচ্চার তৃণমূলনেত্রী।
মঙ্গলবার কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমরা চাই বিচার ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ বন্ধ হোক। কেন্দ্রের পরিকল্পনায় রাজ্যের ভূমিকা লঘু করার চেষ্টা হচ্ছে। বিচার সবার জন্য সমান হোক। কেন্দ্র সরাসরি বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করছে।'
আরও পড়ুন- মিঠুনের ‘অশনি সঙ্কেত’, ‘দেবকে ওরা ভয় দেখাতে চেয়েছিল’
এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিচার ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলা নিয়ে পাল্টা সোচ্চার হয়েছে রাজ্য বিজেপি। গেরুয়া দলের নেতা রাহুল সিনহা বলেন, 'আইনের সব পীঠস্থানগুলি ধ্বংসের চেষ্টা করে যাচ্ছেন মমতা ব্যানার্জি। বারবার তিনি কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক নষ্ট করেছেন। রাজ্যপালের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করেছেন। এরাজ্যে বিচার ব্যবস্থাকে ভেঙে নষ্ট করার পর এখন সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এরাজ্যের শান্তি শৃঙ্খলার দিকে বরং মুখ্যমন্ত্রী নজর দিন। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য আসলে সংবিধানের উপর আঘাত আনার একটি পরিকল্পনা।'
আরও পড়ুন- প্রার্থী-হীন তৃণমূল, সমবায় সমিতির সব আসনেই লাল-পতাকার জয়জয়কার
উল্লেখ্য, বিচার ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের অভিযোগের সূত্রপাত মোদী সরকারের আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর একটি চিঠিকে কেন্দ্র করে। তিনিই প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে একটি চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠিতে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী দাবি করেছেন, এবার থেকে বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়ায় সরকারি প্রতিনিধিদেরও যুক্ত করতে হবে। বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিনিধিদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ারও দাবি করেছেন রিজিজু। বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই জনপ্রতিনিধিদের এই ব্যবস্থায় যুক্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী।