মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফর ও বাণিজ্য সম্মেলন থেকে বাংলার কী লাভ হয়েছে, বারবার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। রাজ্যে ঘটা করে বাণিজ্য সম্মেলন করে কত লগ্নি এসেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। তবে বিদেশ সফরে যে লাভ হয়েছে তার প্রমাণ দিলেন মমতা। বুধবার নবান্নে বিদেশি বিনিয়োগের শিল্প প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। চামড়ার রফতানি ও গুণাগুণ রক্ষা করা নিয়ে বানতলায় প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রকল্পের ৮০ শতাংশ বিনিয়োগ করছে ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন। সেইসঙ্গে এই প্রকল্পের মাধ্যমে বানতলায় ৫ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে বলে দাবি করলেন মমতা। বিদেশি প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে রাজ্যে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান করলেন তিনি।
এদিন ১০০০ কোটি টাকা খরচে নির্মিত বানতলায় এই প্রকল্পে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি তারপর বলেন, "ক্ষুদ্র-মাঝারি ও স্কিলনির্ভর শিল্পের নিরিখে দেশের মধ্যে এক নম্বের বাংলা। ভবিষ্যতে দেশকে পথ দেখাবে বাংলা।" বুধবার ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জার্মানির উপরাষ্ট্রদূত, ইতালির প্রতিনিধি এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি। বানতলার পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরে দিঘার কাছে ২০০ মেগাওয়াটের একটি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ১২০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পে ৮০ শতাংশ বিনিয়োগ করেছে জার্মানির সংস্থা KFW। বাকি টাকা দেবে রাজ্য। ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে এই প্রকল্পের। এখানেও কয়েক হাজার কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন মমতা।
আরও পড়ুন দেশের সঙ্গে উপহাস করছে মোদী সরকার, কড়া ভাষায় আক্রমণ অভিষেকের
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, করোনা আবহে রাজ্যে উন্নয়নের কাজ থেমে নেই। দিঘায় কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরি হচ্ছে। সেই প্রকল্পে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা লগ্নি করছে মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স জিও। এবার প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ রাজ্যে এনে বিরোধীদের একুশের আগে জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন