বনধ মোকাবিলায় বাড়তি উদ্যোগ রাজ্যের পরিবহণ দফতরের।যাত্রী হয়রানি রুখতে অন্যান্য দিনের থেকে বুধবার ২২ শতাংশ বাড়তি বাস পথে নামাবে পরিবহণ দফতর। মঙ্গলবার এই ঘোষণা করেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
মন্ত্রী জানিয়েছে, অন্যান্য দিন যেখানে ৯০০রাজ্য সরকারি বাস পথে চলে সেখানে বুধবার চলবে ১,১৫০টি। দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগমের তরফে থাকবে ৮২৬ বাস। অন্যান্য দিনে যে সংখ্যা থাকে ৬৯২টি। উত্তরবঙ্গ পরিবহণ নিগম ৬০৫টির বদলে পথে নামাবে ৬৫৫টি বাস। এছাড়াও শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'রাজ্যে নথিভিক্ত সব যানবাহনই বনধে বিমার আওতাধীন।' বনধে কোন যান ক্ষতিগ্রস্থ হলে তার ২৪ ঘন্টার মধ্যে থানায় অভিযোগ জানাতে হবে। সেক্ষেত্রে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ মিলবে।
আরও পড়ুন: কাল ২৪ ঘণ্টার ভারত বনধ, কিন্তু ইস্যু কী?
বেসরকারি বাস, ট্যাক্সি, অ্য়াপ ক্যাব নির্ভর ট্যাক্সি সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে তারা বুধবার বাম শ্রমিক সংগঠনগুলোর ডাকা বনধে শামিল হচ্ছে না। এমনটাই দাবি পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। ফলে পরিবহন ক্ষেত্রে বাংলায় বনধের কোনও প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বামেদের ইস্যুতে সমর্থন থাকলেও ‘বাংলায় কোনও বনধ হবে না’: মমতা
কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের “জনবিরোধী” নীতির প্রতিবাদে বুধবার দেশব্যাপী ধর্মঘটে ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন (সিটিইউ)। এই ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করবে প্রায় লক্ষাধিক লোক এমনটাই ঘোষণা করেছে সিটিইউ।
‘ইস্যুকে সমর্থন করলেও, বনধ নয়’, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় আগামী ৮ জানুয়ারি বামেদের ডাকা ধর্মঘটকে সমর্থন করা হবে না বলে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ধর্মঘট আমরা সমর্থন করি না। যখন থেকে সরকারে এসেছি, কোনও বনধ সমর্থন করিনি। ইস্যুকে সমর্থন করছি। আমাদের আন্দোলন চলবে। আমরা নাগরিকের পক্ষে। দেশের নাগরিকের অধিকারের পক্ষে। কিন্তু এজন্য বনধ করতে যাব কেন। একেই দেশে অর্থনৈতিক ক্ষতি চলছে। আবার বনধ করলে, হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট হবে। আসলে দেশ ভুগবে। আমি চাই না, মানুষের ভোগান্তি হোক। বনধ করে কী লাভ! বনধ না করে গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করুক এটাই চাই। বাংলায় কোনও বনধ হবে না।’’
Read the full story in English