'আমার ডাক্তার-নার্সদের ভাল থাকতে হবে', করোনা যুদ্ধে এ কথা আগেই বলেছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। করোনার চিকিৎসা করায় ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্য়কর্মীদের অনেকেই হেনস্থার মুখে পড়ছেন। অনেককেই এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য়, সম্প্রতি রানাঘাটের এক তরুণী স্বাস্থ্য়কর্মীকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে এবার সোচ্চার হয়ে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী বললেন, ''যাঁরা এমন ব্য়বহার করছেন, সরকার চাইলে তাঁদের জেলে ভরতে পারে''। পাশাপাশি ডাক্তার-নার্স-প্য়ারা মেডিক্য়াল কর্মীদের বিশ্রামের জন্য়ও নয়া প্রস্তাব দিয়েছেন মমতা।
রানাঘাটের ঘটনার প্রসঙ্গে টেনে মমতা এদিন বলেন, ''রানাঘাটে তরুণী স্বাস্থ্য়কর্মীকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে সরকার তাঁকে ফ্ল্য়াট দেবে। এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলে তাঁদের দেখব আমরা। যাঁরা এমন ব্য়বহার করছেন, সরকার ইচ্ছে করলে তাঁদের জেলে ভরতে পারে। ৬ মাস থেকে ১ বছরের জেল হতে পারে। কিন্তু আমরা তা করছি না। আশা করি, সবাই বুঝবেন। মা-বোনদের বলছি আপনারা এজন্য় এগিয়ে আসুন। সকলকে বলছি স্বাস্থ্য়কর্মীদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করুন''।
আরও পড়ুন: ‘একাদশের সকল পড়ুয়া পাশ, উচ্চমাধ্য়মিকের বাকি পরীক্ষা জুনে’, ঘোষণা মমতার
অন্য়দিকে, ডাক্তার-নার্সদের উদ্দেশে এদিন মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, ''ডাক্তার-নার্সরা খুব ভাল কাজ করছেন। কোনও বিশ্রাম পাচ্ছেন না। দিনরাত কাজ করছেন। ডাক্তার, নার্স, প্য়ারা মেডিক্য়ালকর্মীরা ৭ দিন কাজ করবেন, আর ৭ দিন রেস্ট করবেন। তাহলে তাঁরা একটু নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ পাবেন। আরও এনার্জি পাবেন। স্বাস্থ্য় ভবনকে বলব এটা করতে''।
এদিন পুলিশ কর্মীদের উদ্দেশে মমতা বলেন, ''পুলিশকেও বলব এটা ভেবে দেখতে। হয়তো পারবে না পুলিশ। পরে পুলিশের ছুটি করব। তবে দিন-রাতের শিফট যদি ৬-৮ ঘণ্টা করা যায়, সেটা দেখতে বলব''।
এ প্রসঙ্গে মুখ্য়মন্ত্রী আরও বলেন, ''জামুড়িয়াতে ওসিকে মেরে পা ভেঙে দেওয়ার কী দরকার ছিল। জনবসতি এলাকায় কোয়ারেন্টিন সেন্টার করা যাবে না সেটা পুলিশকে বললেই হত। আর আমিই তো বলেছি, জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোয়ারেন্টিন সেন্টার করা যাবে না। তবে সরকার চাইলে যে কোনও জায়গায় কোয়ারেন্টিন সেন্টার করা যেতে পারে। আমরা মানবিক বলেই সেটা করি না''।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন