করোনা পরিস্থিতিতে জরুরি পরিষেবায় যুক্ত কর্মীদের জন্য আরও এক সিদ্ধান্ত নিল মমতা সরকার। ডাক্তার-নার্সদের জন্য বিমার অঙ্ক ৫ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা করা হল। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে একথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। উল্লেখ্য়, এর আগে করোনা মোকাবিলায় যাঁরা কাজ করবেন, সেইরকম ১০ লক্ষ মানুষের জন্য ৫ লক্ষ টাকার বিমার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: বেসরকারি সংস্থারা মাইনে কাটবেন না, আর্জি মমতার
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''মানুষ বেঁচে থাকলে পয়সা আসবে। তাই চিকিৎসক-নার্স, স্বাস্থ্য়কর্মীদের বিমার অঙ্ক ৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ লক্ষ টাকা করা হল। ওঁদের পরিবারের কারও হলেও এই বিমার আওতায় আসবে। যাঁরা ক্য়ুরিয়ার বহন করেন, রান্না করেন, সাফাইয়ের কাজ করছেন, আয়ার কাজ করছেন, আশার মেয়েরা, আইসিডিএস কর্মী, সকলে এই বিমার আওতায় আসবেন। বেসরকারি সংস্থায় যাঁরা একাজ করছেন, তাঁদেরও এই বিমার আওতায় আনা হবে। পুলিশে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরাও এই বিমার আওতায় আসবেন''।
মমতার নয়া নির্দেশ। অলঙ্করণ- অভিজিৎ বিশ্বাস
করোনা মোকাবিলায় এদিন নবান্নে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য় আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন মুখ্য়মন্ত্রী। জেলায় জেলায় কী পরিস্থিতি, সে নিয়ে খোঁজখবর নেন মমতা। কাজে সমন্বয়ের যাতে কোনও ব্য়াঘাত না ঘটে, সে ব্য়াপারে আধিকারিকদের বার্তা দেন মমতা।
আরও পড়ুন: বাড়ির পথে হাঁটছেন এই শ্রমিকেরা, কারা তাঁরা? কেন ছাড়ছেন শহর?
নার্স, ডাক্তার, স্বাস্থ্য়কর্মী, আশাকর্মীদের বাড়ি দূরে হলে কাছাকাছি থাকার ব্য়বস্থা করতে হবে বলে নির্দেশ দেন মমতা। ডাক্তার-নার্সদের খাওয়া-দাওয়ার কোনও সমস্য়া হচ্ছে কিনা খোঁজ নেন মমতা। ডাক্তার-নার্সদের যাতায়াতে কোনও সমস্য়া হচ্ছে কিনা সে নিয়েও খোঁজ নেন মুখ্য়মন্ত্রী। মমতা বলেন, ''আরও ৩০০ ভেন্টিলেটরের ব্য়বস্থা করা হচ্ছে। মোবাইল ভেন্টিলেটরেরও ব্য়বস্থা করা হচ্ছে''।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন