/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/01/Mamata-Banerjee.jpg)
গত মাসের ঘটনা। রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছিল তরতাজা প্রাণ। হালিশহরে গৃহ সম্পর্ক অভিযানের সময় হামলা হয়েছিল বিজেপি বুথ সভাপতি সৈকত ভাওয়ালের উপর। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এরপর সেখানে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তোলেন বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়। নিহত বিজেপি নেতার স্ত্রীকে তিন সপ্তাহের মধ্যে সরকারি চাকরি দিল রাজ্য সরকার।
রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে মৃতার স্ত্রীকে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বৃহস্পতিবার নিহত বিজেপি নেতার বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী নবপর্ণার হাতে দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিয়ে আসেন বিধায়ক। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে খুশির পরিবেশ পরিবারে। রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে যেভাবে রাজ্য সরকার নিহতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে তা নিঃসন্দেহে একুশের ভোটের আগে কৌশলী চাল।
আরও পড়ুন হালিশহরে খুন বিজেপির বুথ সভাপতি, কাঠগড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস
গত ১২ ডিসেম্বর রাজনৈতিক হিংসায় খুন হন সৈকত ভাওয়াল। এরপর অশান্তি কম হয়নি এলাকায়। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে থানাও ঘেরাও করে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। সেই ঘটনার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নিহতের স্ত্রীকে চাকরি দিল রাজ্য সরকার। মাত ২ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল সৈকত-নবপর্ণার। অসহায় নবপর্ণাকে চাকরি দিয়ে তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। নবপর্ণা চাকরি পেয়ে জানিয়েছেন, এত অল্প সময়ের মধ্যে পরিবারকে সাহায্য করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবেন তিনি। নিহতের ভাই হালিশহর পুরসভায় চাকরির জন্য আবেদন করেছেন। সেই আবেদনও মঞ্জুর করা হবে বলে জানিয়েছেন পার্থ ভৌমিক।