ভোটের মরশুমে দোল। ফলে জনসংযোগের এমন সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে সকাল থেকেই বসন্তের রঙে রাজনীতির রঙ মেলাতে পথে নেমেছেন বিভিন্ন দলের নেতা-নেত্রীরা। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূলের একগুচ্ছ নেতা এদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রঙ-আবির মেখে বসন্ত উৎসবে সামিল হয়েছেন। তবে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুজিত বসু, শতাব্দী রায়দের রঙ খেলতে দেখা গেলেও, উৎসব থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ সরিয়ে রাখলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন টুইট করে দোলের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। রাজ্যবাসীকে সচেতন হয়ে দোল খেলার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, পুলওয়ামা জঙ্গি হানায় নিহত জওয়ানদের স্মৃতিতে তিনি এ বছর দোলের আনন্দে শামিল হচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন মমতা।
আরও পড়ুন: অন্যকে ছোট করে নিজে বড় হওয়া যায় না: মিমি
প্রসঙ্গত, পুলওয়ামা জঙ্গি হামলা এবং তৎপরবর্তী এয়ার স্ট্রাইক পর্ব নিয়ে অতীতে একাধিকবার মুখ খুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৪ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া পুলওয়ামা কাণ্ডের প্রেক্ষিতে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। গোয়েন্দা রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও জওয়ানদের নিরাপত্তা কেন সুনিশ্চিত করা হয়নি কেন্দ্রের তরফে, প্রশ্ন তোলেন মমতা। আর এরপরই ঘটে যাওয়া এয়ার স্ট্রাইক প্রসঙ্গে সেনাকে দিয়ে রাজনীতি করানোর অভিযোগ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
গোটা পর্বে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধন করার চেষ্টা হচ্ছে বলে মন্তব্য করলেও সেনা জওয়ানদের যে তিনি শ্রদ্ধা করেন সে কথা বারবার বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন, নিহত সিআরপিএফ জওয়ানদের স্মৃতিতে দোল উৎসবে অংশ না নিয়ে সেনাদের প্রতি 'শ্রদ্ধা' ব্যক্ত করলেন মমতা, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। উল্লেখ্য, এবার হোলিতে অংশ নিচ্ছেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ বিজেপির একাধিক নেতাও।