করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে ফের রাজ্যের পাওনা নিয়ে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সাহায্য নিয়ে তোপ দাগেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, জিএসটির বকেয়া টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। তিনি এদিন ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, "কেন্দ্রের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সাহায্য মেলেনি। জিএসটি বাবদ রাজ্য কেন্দ্রের কাছে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা পায়। সেই টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। এদিকে বিভিন্ন খাতে রাজ্যের খরচ বেড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য চার হাজার কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছে। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে দিয়েছে মাত্র ১৯৩ কোটি টাকা।"
এদিন বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক সফরের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। বৈঠকে প্রথমে তিনি বলেন, "গোটা দেশ করোনার ভ্যাকসিনের প্রত্যাশায় রয়েছে। অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গণ টিকাকরণ কর্মসূচির জন্য বাংলা প্রস্তুত রয়েছে। যত দ্রুত ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, কেন্দ্র ও অন্যান্য সহযোগী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রেখে দ্রুত কাজ শুরু করে দেবে রাজ্য। সবাই যাতে দ্রুত ভ্যাকসিন পায় সেই বিষয় নিশ্চিত করা হবে।" মমতা মোদীকে আশ্বস্ত করেছেন যে, রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সুস্থতার হার ৯০ শতাংশেরও বেশি। এখন কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় রেখে গণ টিকাকরণ শুরু করতে প্রস্তুত রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন কড়া নাড়ছে ভোট, ডিসেম্বরেই ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’
প্রসঙ্গত, জিএসটি থেকে রাজ্যগুলির এ বছরে যে পরিমাণ আয় কম হবে, তার পুরোটাই কেন্দ্র ঋণ নিয়ে রাজ্যকে ঋণ দিক, এমন দাবি তুলেছিলেন বাংলার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। এমনকী, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সুদের হার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতার মন্ত্রী। জিএসটি সংক্রান্ত এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠিও দেন তিনি। চিঠিতে অমিত মিত্র এও বলেন, আগস্ট ও অক্টোবরে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে অনেক রাজ্য যুক্তি দিয়েছিল যে, কেন্দ্রীয় সরকার আরবিআইয়ের বিশেষ উইন্ডো থেকে ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির এবং জিএসটি সংগ্রহের মধ্যে ব্যবধান মেটাতে ঋণ নিয়েছে।