পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন। তার আগেই কৃষ্ণনগরে দাঁড়িয়ে মারাত্মক অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। চেষ্টা করলেন বিরোধী সব রাজনৈতিক দলগুলির 'অভিসন্ধি' ফাঁসের। বললেন, 'নির্বাচন এলেই রাম বাম শ্যাম সব এক হয়ে য়ায়। এ ওর কানাঘুষো করে। নানা আদানপ্রদান চলে। রাজনীতির সঙ্গে আরও কিছি লেনদেনও হয়।'
Advertisment
দিন কয়েক আগেই খাস শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় বাম-বিজেপি একসঙ্গে পথ চলা শুরু করেছে। তৃণমূলকে রুখতে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার বহরমপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে এই দুই দল গড়া ‘সমবায় বাঁচাও মঞ্চ’ তৈরি করে ভোট লড়াই করে। ৬৩টি আসনের সবকটিতেই জেতে রাম-বাম মঞ্চের প্রার্থীরা। এই ঘটনার পরপরই তৃণমূল সুপ্রিমোর বিজেপি সিপিআইএম কংগ্রেস মধ্যে আঁতাঁতের অভিযোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
তবে এর আগেও একাধিকবার ভোটের আগে তৃণমূলকে ঠেকাত বিরোধী সব রাজনৈতিক দলগুলির জোটবদ্ধ লড়াইয়ের দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কৃষ্ণনগরে দাঁড়িয়ে বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'বিজেপির শাগরেদ সিপিআইএম আর কংগ্রেস। নির্বাচন এলেই রাম বাম শ্যাম সব এক হয়ে য়ায়। এ ওর কানাঘুষো করে। ও তার কানাঘুষো করে। নানা আদানপ্রদান চলে। রাজনীতির সঙ্গে আরও কিছু লেনদেনও হয়। এই সত্য প্রকাশ করেদিন।'
বিরোধীদের বিঁধলেও এ দিন নিজের দলের নেতা কর্মীদের শৃঙ্খলাবোধ নিয়েও মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেত্রী। বলেছেন, 'একটা দু'টো লোক ভুল করতে পারে। তার জন্য সবাই খারাপ হয়ে যায়? আমি চাই যারা ভুল ত্রুটি করবে তারা শুধরে নেবে। তৃণমূল কর্মীরা মাথা উঁচু করে চলবে। কোনও লোভ যেন তাদের গ্রাস করতে না পারে। অর্থের মূল্য অনর্থ। লোভ করে অর্থ করা মানে যার কাছে রাখছেন মেরে দিচ্ছে। লোভ করে অর্থ করা মানে সমাজে বদনাম হচ্ছে।' নদিয়া জেলায় জোড়-ফুলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে কাজে ঝাঁপাতে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।'