গত সপ্তাহেই জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে আয়কর দফতর। সূত্রের খবর, সেই অভিযানে বিধায়কের কারখানা, দফতর থেকে ১১ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। এবার সেই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। গোটাটাই 'ফাঁসানোর চেষ্টা' বলে দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বলেছেন, 'তিনি (জাকির হোসেন) কেবল তৃণমূল কংগ্রেস করেন বলে এর আগেও জাকিরকে তো প্রাণে মারারও চক্রান্ত করা হয়েছিল।' পাশাপাশি তাঁর সাফ কথা, 'দোষ থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।'
আয়কর তল্লাশির ঘটনায় প্রকাশ্যেই সোমবার দলীয় বিধায়ক জাকির হোসেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল বিধায়কের দফতর, কারখানা ও বাড়িতে নগদ রাখার ব্যাখ্যা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, 'জাকির একজন বিড়ি শিল্পপতি। জাকিরের ২০ হাজার বিড়ি শ্রমিক রয়েছে। তাঁদের মাইনে দেবে কী ভাবে। গ্রামে কটা বিড়ি শ্রমিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে? কী ভাবে তাঁদের মাইনে দেবে?'
আরও পড়ুন- ব্যর্থ শাসকের সব ‘ফন্দি’, হাতের দখলে ঝালদা পুর-বোর্ড
বিষয়টি নিয়ে বিরাট ভাবতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী। বিধায়ককে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। মমতার কথায়, 'জাকির একজন সেফ অ্যান্ড সাউন্ড ম্যান। জাকির বুঝে নেবে ওদেরটা।'
জাকির হোসেন বিতর্কে মুর্শিদাবাদের সভা থেকেই এদিন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, 'কোনও একজনকে এখানে কাজ করার জন্য দলের পক্ষ থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি লাইন করে কোন লোকটা তৃণমূলের শক্তিশালী, তাঁর বাড়িতে লোক পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমি বলবো চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম। অন্যের বাড়িতে পাঠানোর আগে নিজের বাড়িতে তল্লাশি চালান। ইডি, সিবিআই-কে দিয়ে তল্লাশি করান।'
উল্লেখ্য, তৃণমূলে থাকাকালীন দলীয় সংগঠনের তরফে মুর্শিদাবাদ জেলার পর্যবেক্ষক পদে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টে পিছোল DA মামলার শুনানি, রাজ্যকে কী নির্দেশ শীর্ষ আদালতের?