বৃহস্পতিবার সকালে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হন অনশনকারী এসএসসি চাকুরীপ্রার্থীরা। মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি পাঁচ-সদস্যের কমিটি এখনও কোনো পদক্ষেপ নেয় নি, সেই অভিযোগ তুলে ধরেন তাঁর কাছে। এদিন মমতা আশ্বাস দেন, ২১ জুলাই (তৃণমূলের শহীদ দিবস) কাটলে আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসবেন তিনি। উল্লেখ্য, এবছরের মার্চ মাসে তাঁদের দাবিদাওয়ার সমর্থনে মেয়ো রোডে দীর্ঘদিন অনশন করেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা প্রায় ৩৫০ জন এসএসসি চাকরীপ্রার্থী।
সেসময়ের অনশনকারী ইনসান আলি বলেন, "মঙ্গলবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার কথা থাকলেও কমিটির সচিব মনীশ জৈন আমাদের ঘরে ঢুকতে দেন নি। আধিকারিকরা আমাদের প্রতিনিধিকে অপমান করেন ও বিকাশ ভবনে প্রবেশ করতে দেন না। সে এরপরও ঢোকার চেষ্টা করলে এক টেবিল থেকে অন্য টেবিল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সকাল এগারোটা থেকে বিকেল পাঁচটা প্রর্যন্ত কাটিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে তাঁরা বলেন, কিছুই করতে পারবেন না। এই অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরতে তিনি অবাক হয়ে যান, এবং বলেন আমি এ বিষয়ে অবগত ছিলাম না। আমাকে কিছু জানানো হয় নি।"
আরও পড়ুন: আর কত দিন? প্রতারণা করছেন মুখ্যমন্ত্রী! অভিযোগ হবু শিক্ষকদের
ইনসান আলির দাবি, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠান হয়ে গেলে কমিটির পাঁচ প্রতিনিধি ও অনশনকারীদের পাঁচ প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করা হবে। সেই বৈঠকেই সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করবেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে এসএসসির চেয়ারম্যান সৌমিত্র মিত্র জানিয়েছেন, "মুখ্যমন্ত্রী ডাকলে অবশ্যই আমরা যাব, আমি রেকমেন্ডিং অথরিটি। পাঁচ প্রতিনিধির মধ্যে আমি একজন হলেও সেই কমিটির আহ্বায়ক নই আমি।"
উল্লেখ্য, মেয়ো রোড চত্বরে "ন্যায্য ও প্রাপ্য" চাকরির দাবিতে ২৯ দিন ধরে অনশন করেছিলেন এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসেই ২৮ মার্চ অনশন প্রত্যাহার করেছিলেন তাঁরা। অনশনরত চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে মমতা সেদিন বলেন, "আপনাদের দাবিগুলি পার্থদাকে জানান।" পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মমতার নির্দেশ, "ওঁদের দাবিগুলি শুনুন।" এ বিষয়ে একটা সমাধানের রাস্তা খুঁজতে হবে বলে সেদিন একাধিকবার মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও জানান, যেসব প্রার্থী মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন, তাঁদের চাকরি হোক, এমনটাই তিনি চান। তবে সেসময় লোকসভা নির্বাচনের আচরণবিধি জারি থাকায়, চাকরিপ্রার্থীদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী।