kanchanjungha express: কাঁপানো আওয়াজ, শূন্যে উঠে তালগোল পাকিয়ে গেল কামরা। ফিরল করমণ্ডল দুর্ঘটনার স্মৃতি। সাতসকালেই ট্রেনদুর্ঘটনায় ছিটকে গেল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি কামরা। গা শিউরে ওঠার মতো দুর্ঘটনার কবলে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সময় যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে আতঙ্ক-হাহাকার। রেলের তরফে জানানো হয়েছে দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট আটজনের মৃত্যু হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ছাড়া কিছুটা দূরেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস।
ওই লাইনে পিছন থেকে আসা একটি মালগাড়ির সজোরে ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে দলা পাকিয়ে যায় কাঞ্চনজঙ্গা এক্সপ্রেসের দুটি কামরা। ঘটনার জেরে এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে ৬টি মৃতদেহ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ড ও মালগাড়ির দুই চালক।
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার খবর পেয়েই বিকেলে দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিমান না মেলায় তাঁর যেতে দেরি হয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, 'উত্তরবঙ্গে পৌঁছে প্রথমেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে যাবেন তিনি। রাতে থাকবেন কোচবিহারে। আগামিকাল সকালে যাবেন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে'।
এদিন বিমানবন্দর থেকে মমতা বলেন, 'জেলাশাসক, এসপি, ডাক্তার, অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ চলছে। পাশাপাশি রেলের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, "রেল এখন অভিভাবকহীন, রেলের পরিষেবা এখন অত্যন্ত নীচে নেমে গিয়েছে, খাবার থেকে শৌচাগার নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে রয়েছে নানান অভিযোগ। সময়মতো উদ্ধারকার্য্য শুরু না হলে আরও অনেকের মৃত্যু হতে পারত। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে কোনও খেয়াল রাখা হয়নি। অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস আমি তৈরি করে দিয়ে এসেছিলাম। এখন রেলের বাজেট নেই, উঠিয়ে দিয়েছে'।
আরও পড়ুন : < Kanchanjunga kavach-system: কোথায় গেল ‘কবচ’ ব্যবস্থা, শুধুই প্রচার? কেন রোখা গেল না কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনা! >
এদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করলেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস কর্মীদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। দুর্ঘটনার দায় মোদী সরকারের কাঁধেই ঠেললেন রাহুল। কংগ্রেস নেতা বলেন, “মোদী সরকারের অব্যবস্থা কারণে গত ১০ বছরে বেড়েছে রেল দুর্ঘটনা। মোদী সরকারের দোষেই প্রাণ হারাচ্ছে আমজনতা।”