প্রকল্পের জন্য প্রথমে জমি চিহ্নিতকরণের পরেই যেন 'ডিটেইলড প্রজেক্ট রিপোর্ট' (ডিপিআর) জমা দেওয়া হয়, এই মর্মেই রাজ্য সরকারের সব দফতর ও বিভাগগুলিকে নির্দেশিকা পাঠাল মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় (সিএমও)। এই প্রক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলি প্রকল্পের টেন্ডার ডাকতে শুরু করতে পারবেন। এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিএমও থেকে জানানো হয়েছে, জমি জট কাটানোর বিষয়ে অর্থবিভাগকে দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলায় মমতাই থাকবেন? উত্তরের আভাস আজ
বুধবার রাজ্য সরকারের এক উচ্চপদস্থ কর্মী বলেন, "মূলত পূর্ত ধফতরের প্রকল্পের জন্যই এই নতুন প্রক্রিয়াটি চালু করা হয়েছে। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে পেরেছিলেন যে জমি না পাওয়ার কারণে অনেক পিডাব্লুডি প্রকল্পই আটকে রয়েছে এবং নির্দিষ্ট সময়সীমা পূরণেও ব্যর্থ হয়েছে। এই ধরণের সমস্যার কথা মুখ্যমন্ত্রী জানতে পেরে এই নতুন প্রক্রিয়াটি শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।" সূত্রের খবর, বেশ কয়েকটি বিভাগ তাঁদের প্রকল্পের জন্য অর্থবিভাগ থেকে ছাড়পত্র পেলেও জমি সমস্যার কারণেই প্রকল্পের কাজ এগোতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: অর্থনীতিতে মন্দা নেই, হবেও না: নির্মলা সীতারমণ
জমি সমস্যার কারণে যে প্রকল্পগুলি কার্যত আটকে রয়েছে তার মধ্যে প্রধান হল জাতীয় সড়ক প্রশস্তকরণ প্রক্রিয়া। আটকে রয়েছে এনএইচ-৪৪ এবং এনএইচ-৩৫ এর মতো জাতীয় সড়কের কাজ। এখানে সরকারের মূল সমস্যা হল জমি অধিগ্রহণ। রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ এক কর্মী বলেন, "বিশেষত এনএইচ-৪৪, বারাসত থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত এক একরও জমি অধিগ্রহণ করা যায়নি। দক্ষিণ দিনাজপুরের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি জানতে পেরেই তৎক্ষণাৎ আধিকারিকদের জমি অধিগ্রহণের নির্দেশ দেন।"
নতুন এই সিদ্ধান্ত অনুসারে, বিভাগগুলিকে প্রথমে সিএমও-র কাছে নির্ধারিত জমি-সহ প্রকল্পের বিবরণ জমা দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরে তা অর্থ বিভাগে চলে যাবে। পরবর্তীতে প্রকল্পের বিবরণ তৈরি হয়ে গেলে তা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ফের সিএমও-তে পাঠানো হবে বলে জানান এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক।
Read the full story in English