পঞ্চায়েত ভোট কী এগিয়ে আসছে? মুখ্যমন্ত্রীর কথায় যেন তারই অভাস। বুধবার পশ্চিম বর্ধমানের সৃজনী সভাগৃহে দুই বর্ধমানের প্রসানিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তাঁর নির্দেশ, আগামী পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা পর্যন্ত জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলি যেন শুধুমাত্র গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ ও মেরামতির দিকেই নজর দেয়।
গ্রামীণ রাস্তা খারাপ থাকলে ভোট মিলবে না বলে আশঙ্কা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বলেন, ‘গ্রামীণ রাস্তা খারাপ থাকলে কেউ ভোট পাবেন না। এটা মাথায় রাখবেন। মনে রাখবেন রাস্তাটা দেখলে খুশি হয়ে আপনাকে লোকে ভোট দেবে।’ মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, ‘দরকার পড়লে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মাথায় করে ইট বইবেন।’
এরপরই নিজের জীবনে গ্রামীণ রাস্তা বানানোর উদাহরণ দেন মমতা। বলেন, ‘আমি নিজে ইট বয়ে গ্রামীণ রাস্তা তৈরি করেছিলাম।’
এখানেই থামেননি মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনসংযোগ বৃদ্ধির উপায়ও এদিন বাতলে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতার সংযোজন, ‘মাঠে চাষী চাষ করছে, আমনিও ট্রাকটরে হাত লাগান না। আপনি দরকার হলে দুটো ধান কাটুন না।’
এক্ষেত্রেও নিজের জীবনের উদাহরণ টানেন তিনি। বলেন, ‘তোমরা কী জান, আমি ধান বুনতে ও কাটতে পারি? আমারও কিন্তু একটা গ্রাম আছে। সবার থেকে ভাল ধান পুঁতে দেব। কেটেও দেব। ছোটবেলায় শীতকালে মামাবাড়ি যেতাম। যে ধান পড়ে থাকত সেটা জমাতাম। আগে গ্রামের দোকানে ধান দিয়ে জিনিস পাওয়া যেত। সেই জমানো ধান দিয়ে আমরা আলুর চপ, চুলের ফিতে কিনতাম।’
আরও পড়ুন- ‘ডিজি শান্তশিষ্ট, দেখতে একেবারে উত্তম কুমার’, মমতার কথায় হাসির রোল