কলকাতার দুর্গাপুজোয় খরচের বহরে আয়কর দফতরের নজর নিয়ে এবার সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। শহরের পুজো কমিটিগুলিকে আয়কর দফতরের তলব করা নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করতেও ছাড়লেন না মমতা। শুক্রবার বারাসতের এক সভায় তৃণমূল সুপ্রিমো শহরের সব পুজো ক্লাবকে একজোট হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি আয়কর দফতরে পুজো উদ্যোক্তাদের হাজিরা না দেওয়ার কথাও বলেছেন মমতা।
এদিন মমতা বলেছেন, "কেন আয়কর দফতরকে টাকা দিতে হবে...দেশে অনেক মন্দির, ট্রাস্ট রয়েছে। তারা কি কর দেয়? পুজো উদ্যোক্তারা নিজেদের লাভের জন্য এটা করেন না।" এরপরই মমতা বলেন, "সত্যিকারের চোরদের থেকে কত আয়কর নেওয়া হয়েছে? প্রকৃত অপরাধীরা বিদেশে রয়েছে, আর ক্লাবগুলোকে আয়করের জন্য হেনস্থা করা হচ্ছে।"
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘‘আমাদের রাজ্য সরকার উন্নয়নের জন্য ক্লাবগুলোকে ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছে। আপনারা এই টাকা ক্লাবগুলোর থেকে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। যদি আপনারা দুর্গাপুজো বন্ধ করার চেষ্টা করেন, আমরা চুপ করে থাকব না। সমস্ত ক্লাবকে বলছি, একসঙ্গে সকলে প্রতিবাদ করুন। আমি ওঁদের বলব, আপনারা আয়কর দফতরে যাবেন না।’’
আরও পড়ুন, রাজনৈতিক বিদ্বেষ মুক্ত হোক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এ প্রসঙ্গে বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বলেন, "পশ্চিমবাংলায় সব জাত, ধর্মের মানুষরা দুর্গাপুজো উদযাপন করেন। এখন বামেরা বিজেপির সঙ্গ নিয়েছে। ওরা পুজো কমিটিগুলোকে আয়কর নেটিস পাঠাচ্ছে। মানুষ কি জানে, নোট বাতিলের সময় আপনারা কত টাকা লুঠ করেছেন? আয়কর হিসেবে কত টাকা জমা করেছেন আপনারা?"
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই শহরের দুর্গাপুজো কমিটিগুলোকে নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর দফতর। কমপক্ষে ৪০টি বড় পুজো কমিটিকে নোটিস ধরিয়েছে আয়কর দফতর। নোটিস পাঠিয়ে ওই পুজো কমিটিগুলোকে টিডিএস ফাইল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবারই কয়েকটি পুজো কমিটির প্রতিনিধিরা কলকাতায় আয়কর দফতরে হাজিরা দেন।
অন্যদিকে, কেন্দ্রের কোটা বিল নিয়েও এদিন মুখ খুলেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্র সম্প্রতি ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করেছে। কিন্তু কত সংখ্যক মানুষ এর আওতায় পড়ছেন? যাঁরা শ্রমিক ও কৃষক পরিবারের সদস্য, তরুণ প্রজন্ম এতে বঞ্চিত হবেন। গরিবদের অবহেলা করা হবে। গত বছর ২ কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন। বাংলায় আমরা ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমিয়েছি। আমরা আমাদের তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থান করেছি।’’
Read the full story in English