ভোটের বাজারে বড়সড় সাফল্য পেল মমতা সরকার। কন্যাশ্রীর পর এবার বিশ্ব দরবারে পুরস্কৃত হল রাজ্য সরকারের আরও দুই প্রকল্প। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফেরর স্বীকৃতি পেল ‘উৎকর্ষ বাংলা’ ও ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্প। লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট চলাকালীনই এই 'সুখবর' জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি'র তরফে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে রাজ্যের দুই প্রকল্পকে। পুরস্কার প্রদানকারী এই সংস্থাটি রাষ্ট্রসংঘে স্বীকৃত।
প্রসঙ্গত, ভোটের বাজারে বাংলার উন্নয়ন নিয়ে বারবার মমতাকে নিশানা করেছেন মোদী-শাহরা। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে রাজ্যে এসে মমতাকে বিঁধে মোদী বলেছেন, ‘‘বাংলায় উন্নয়নের স্পিড ব্রেকার হলেন মমতা’’। এর আগে মোদী বলেছিলেন, ‘‘বাংলার হাল খুব খারাপ’’। অমিত শাহও বাংলার উন্নয়ন নিয়ে মমতাকে খোঁচা দিয়েছেন। আর ঠিক এই সময়েই রাষ্ট্রসংঘ স্বীকৃত সংস্থার এমন ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশেষ স্বস্তি এনে দিয়েছে। রাজ্য সরকারের এই সাফল্যকে মমতা নিঃসন্দেহে নির্বাচনী প্রচারের হাতিয়ার করবেন বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিদের একাংশ।
আরও পড়ুন: ‘কন্যাশ্রী’র পর ফের বাজিমাৎ! রাষ্ট্রসংঘে সমাদৃত মমতা সরকারের ‘উৎকর্ষ বাংলা’-‘সবুজ সাথী’
বৃহস্পতিবার এই পুরস্কারের খবর জানিয়ে ফেসবুক পোস্টে মমতা লিখেছেন, ১৮টি বিভাগে ১০৬২টি মনোনয়নের মধ্যে ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’ বা ‘দক্ষতা সৃষ্টি’ বিভাগে সেরার শিরোপা পেয়েছে ‘উৎকর্ষ বাংলা’। আইসিটি অ্যাপ্লিকেশন, ই-গভর্ন্যান্স বিভাগে চ্যাম্পিয়ন প্রকল্প হিসেবে প্রথম পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে ‘সবুজসাথী’ প্রকল্প।
এই দুই প্রকল্প প্রসঙ্গে মমতা লিখেন, "এই প্রকল্পগুলি আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য। ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পে প্রতি বছর ৬ লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। সবুজসাথী প্রকল্পে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের সাইকেল দেওয়া হয়"। এই প্রকল্পে প্রায় ১ কোটি সাইকেল দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্পও রাষ্ট্রসংঘের সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছিল।