তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। দুয়ারে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই আবাস তালিকা সহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে জোড়-ফুল জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তাৎপর্যপূর্ণভাবে সোমবার বললেন, 'দলের উপর নজরদারি দরকার।'
কী বলেছেন মমতা?
'তৃণমূল করে খাওয়ার জায়গা নয়।' দলের প্রতিষ্ঠাদিবসে এই কথা বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বার্তা দিয়েছিলেন দলীয় নেতা, কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের। সোমবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, ' যদি পোকা জন্মে থাকে, তা হলে প্রথমে তাকে সতর্ক করতে হবে। বলতে হবে, হয় নিজেকে সংশোধন করো, না হলে আমাদের অন্য কিছু ভাবতে হবে। একটা ধানে পোকা লাগলে সেটাকে সমূলে বিনাশ করতে হয়। নইলে ওই একটা ধান সব ধানকে নষ্ট করে দেয়। মনে রাখবেন, আমি নিজেও দলের ঊর্ধ্বে নই, মানুষের ঊর্ধ্বে নই।'
দলে দুর্নীতির ভুরিভুরি অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়ছে তৃণমূল। কড়া পদক্ষেপ করতে শুরু করেছেন অভিষেক। গত এক মাসে নদিয়া দিয়ে শুরু, তারপর পূর্ব মেদিনীপুরে দু’জন পঞ্চায়েত প্রধানকে নির্ধিষ্ট দিন বাতলে সরিয়ে দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। যা নিয়ে ঘাস-ফুলের অন্দরে চর্চা তুঙ্গে। গোটাটাই 'লোক দেখানো' বলে দাবি বিরোদী দলগুলোর।
আরও পড়ুন- দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত তৃণমূল, মমতা সূচনা করলেন ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’
এই প্রেক্ষাপটে দলের উপর নজরদারি জোরদার ও ছাঁকনি প্রক্রিয়াকে বজায় রাখতে চাইছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এদিনের মন্তব্যে স্পষ্ট। কেন এই নজরদারি? জবাবে তৃণণূল নেত্রী বলেছেন, 'গ্রাম পঞ্চায়েতের টাকা আগে রাজ্য সরকারের মাধ্যমে যেত। এখন সরাসরি চলে যায়। কাজেই আমরা যে মনিটরিং (নজরদারি) করব, সিস্টেমের জন্য সেই সুযোগ কম। তবুও আমাদের নজর রাখতেই হয়।'
আরও পড়ুন- বাংলার বকেয়া নিয়ে মোদীর বিরুদ্ধে কড়া কথায় নারাজ! মমতার হল কী?
শাসক দলের দায়বদ্ধতা স্মরণ করিয়ে নেত্রীর বলেছেন, 'আমার উপর মানুষের কী কী দায়বদ্ধতা আছে, তা আমি প্রতি দিন সকাল থেকে রাত মেনে চলি। দলের কাজ যাঁরা করছেন সকলকে এটা মানতে হবে।'