Advertisment

বেসরকারি সংস্থারা মাইনে কাটবেন না, আর্জি মমতার

লকডাইনের সময়কালে কাটা যাবে না শ্রমিকদের মজুরি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
mamata banerjee, মমতা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।

লকডাউনের সময়কালে কাজে অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে কোনও শ্রমিকের মজুরি কাটা যাবে না। সংগঠিত ও অ-সংগঠিত ক্ষেত্রের আওতাধীন সংস্থাগুলোর উদ্দেশে এই নির্দেশ জারি করল রাজ্য সরকার। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'সব সংস্থা, দোকান ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে লকডাউনের সময়কালে শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি না কেটে বেতন দিতে হবে।' এছাড়ও, সম্ভব হলে পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে ঘর ভাড় না নেওয়ার জন্যও বাড়িওয়ালের আর্জি জানিয়েছে মমমতা সরকার। সঙ্গে এও বলা হয়েছে যে, জোর করে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘর ছাড়তে বাধ্য করা হলে বাড়িওয়ালেদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক পদক্ষেপ করা হবে।

Advertisment

লকডাইনে চরম সমস্যায় পরিযায়ী শ্রমিকরা। কাজে না যাওয়ায়, এই সময়কালে মজুরি জুটবে কিনা তা জানা নেই শ্রমিকদের। এই পরিস্থিতিতে নবান্নের এই নির্দেশ শ্রমিকদের জন্য কিছিটা হলেও স্বস্তির বার্তা।

আরও পড়ুন: ২১ দিনের লকডাউন আপাতত বাড়ছে না: কেন্দ্র

নির্দেশিকার বলা হয়েছে, 'পরিযায়ী সহ যেসহ শ্রমিকরা ভাড়র ঘরে থাকেন- সম্ভব হলে বাড়িওয়ালা এই সব শ্রমিকদের এ মাসের ভাড় মুকুব করে দিন। তবে, শ্রমিক বা পড়ুয়াদের জোর করে ঘর ছাড়তে বাধ্য করা হলে নির্দিষ্ট আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।' রবিবার মুখ্যসচিব রাজীভা সিনহার তরফে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। নবান্ন জানিয়েছে, 'পরিযায়ী শ্রমিক সহ যাদের প্রয়োজন তাদের জন্য জেলা প্রশাসনগুলো অস্থায়ী আশ্রয় ও খাবারের ব্যবস্থা করেছে ও করছে।' এই কাজে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, নাগরিক সমাজ ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তারও আবেদন জানানো হয়েছে।

অনেক সময় বিভিন্ন রাজ্য থেকে বাংলায় চলে আসছেন মানুষ। কিন্তু রাজ্যের কাছে এর কোনও তথ্য নেই। যা নিয়ে শনিবারই উশ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার বিজ্ঞপ্তিতে নবান্ন জানায়, কোনও রাজ্য থেকে কোয়ারেন্টাই ভেঙে কেউ এ রাজ্যে চলে এলে সংশ্লিষ্ট রাজ্য বাংলা প্রশাসনকে যেন সেই খবর জানায়। তাহলে প্রশাসন তাকে বা তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করতে পারবে। বাইরে থেকে কেউ এসে গৃহবন্দি না থাকলে থাককে বা তাঁদের সরকারি কোয়ান্টাই সেন্টারে থাকবে বাধ্য করবে প্রশাসন।

এদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে জরুরি পরিষেবায় যুক্ত ডাক্তার-নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য বিমার অঙ্ক ৫ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিলে ৫ লক্ষ টাকার অর্থদান করেছেন।

Read the full story in English

coronavirus Mamata Banerjee West Bengal
Advertisment