Mamata Banerjee in Delhi after 21st July: সামনের রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস। ওই দিন ধর্মতলার শহিদ মঞ্চ থেকে আগামিদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে পরের সপ্তাহে দিল্লি যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৭ জুলাই কেন্দ্রের নীতি আয়োগের বৈঠকে থাকার কথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই দিল্লি সফরে তাঁর বিরোধী দলের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। পাশাপাশি, দলীয় সাংসদদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
এর আগে নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিত না থাকা নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বাংলার প্রাপ্য দেড় লক্ষ কোটি টাকা। নীতি আয়োগের বৈঠকে সেই বকেয়ার দাবিতে সরব হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবাস যোজনা থেকে ১০০দিনের কাজের প্রকল্প-সহ নানা প্রকল্প খাতে কেন্দ্রীয় সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে বলে দাবি রাজ্য সরকারের। বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও রাজ্যের বকেয়া টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র।
এর আগে এই পাওনা-গন্ডা আদায় নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লিতে ধরনা, আন্দোলন, অবস্থান করেছে তৃণমূলের সাংসদ ও নেতা-কর্মীরা। পরবর্তীতে রাজ্যপালের কাছে মাথায় করে ফাইল নিয়ে গিয়ে দাবি জানানো হয়েছে। এমনকী, রাজভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভও দেখিয়েছে তৃণমূল। তবুও বকেয়া আদায় হয়নি মোদী সরকারের কাছ থেকে। এবার দিল্লি গিয়ে ফের বকেয়া নিয়ে সোচ্চার হবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
এর আগে মুম্বই গিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, মোদী সরকার বেশি দিন ঠিকবে না। বিশেষ করে ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকে ইন্ডিয়া জোট নিয়ে সক্রিয় হয়েছে তৃণমূল। দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও দিল্লি, মুম্বই ছুটেছেন ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্বের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করতে। স্বভাবতই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি গেলে বিভিন্ন বিরোধী নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তাঁদের সঙ্গে মিলে বিজেপি সরকারের ওপর নানা নীতিগত বিষয়ে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করবেন।
আরও পড়ুন- গেট বন্ধ, তাও লাইন পেরোচ্ছেন? এবার ধরা পড়লেই ‘কাঁদানো’ শাস্তির কথা জানাল রেল
ইতিমধ্যে 'ন্যায় সংহিতা' নিয়ে প্রবল বিরেধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নয়া তিন আইন নিয়ে রিভিউ কমিটিও গঠন করেছে রাজ্য সরকার। তাছাড়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বিধানসভার বিল পাশ, বিধায়কদের শপথ-সহ নানা বিষয়ে চরম সংঘাত চলছে রাজ্য সরকারের। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরুদ্ধে রাজ্যপাল আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। দিল্লি গেলে এই সব বিষয়ও যে মুখ্যমন্ত্রীর মাথায় ঘুরপাক খাবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই রাজনৈতিক মহলের। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোর কর্মকাণ্ড নিয়েও দেশের রাজধানীতে সরব হতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।