Digha Jagannath Dham controversy: দিঘার জগন্নাথ ধাম নিয়ে রেগে কাঁই ওড়িশা সরকার। পুরীর জগন্নাথ ধাম কর্তৃপক্ষকে রীতিমতো চিঠি লিখে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে ওড়িশা প্রশাসন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আবার দিঘার জগন্নাথ ধামে বিগ্রহ নির্মাণের জন্য ওড়িশা থেকে নিম কাঠ চুরির অভিযোগ এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। শুভেন্দুর সেই তোপের এবার পাল্টা কড়া জবাব মুখ্যমন্ত্রীর।
কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
"জগন্নাথ ধাম নিয়ে এত হিংসা কেন? ওরা (ওড়িশা সরকার) নোটিফিকেশন দিয়েছে, কেউ যাবে না। আমি পুরী গেলেও RSS বিক্ষোভ দেখায়। জগন্নাথধাম নিয়ে এত হিংসা? আমি ওড়িশাকে ভালোবাসি। আমরা যদি একটা জগন্নাথ করি আপনাদের এত আপত্তি কেন? আপনারা আমাদের লোককে মারছেন। বাংলায় কথা বললেই মারছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের মারছেন। হিংসার কোনও ওষুধ আছে? আমরা চাই না কারও সঙ্গে কারও ভুল বোঝাবুঝি। ওড়িশার DG-র সঙ্গে কথা বলেছে। আপনাদের শুভবুদ্ধি হোক। শকুনি মামা দয়া করে হবেন না। বিজেপি ছুপা রুস্তাম।"
তিনি আরও বলেন, "জগন্নাথ ধামটা খুব গায়ে লেগেছে না? আমি নাকি নিম কাঠ চুরি করেছি। চোরের মায়ের বড় গলা! মমতা ব্যানার্জির এই অবস্থা হয়নি। জগন্নাথ মূর্তি কিনতেও পাওয়া যায়। ওটা নিয়ে এসেছেন দয়িতাপতি। যে জায়গা থেকে বলা হচ্ছে সেই জায়গা থেকে নয়। ওকে (রাজেশ দয়িতাপতি) প্রশ্ন করেছে তুমি কেন পুজো করতে গিয়েছিলে? নোটিফিকেশন দেওয়া হয়েছে, কেউ যাবে না জগন্নাথ ধামে। এত গায়ে লাগছে কেন? আমরা তো সবাই পুরীতে যাই। জগন্নাথ ধাম নিয়ে কেন এত হিংসা?
আরও পড়ুন- Kolkata News Live Updates: কলকাতায় বিরাট দুর্ঘটনা, ঝড়ের গতিতে গিয়ে ব্রিজের রেলিংয়ে ধাক্কা বাইকের, মৃত ২
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, "বাংলার পর্যটকরাই সবচেয়ে বেশি যায় ওড়িশায়। আমরা যদি একটা জগন্নাথ ধাম করি আপনাদের এত কী আছে! বাংলায় কথা বললে ওড়িশায় মারা হচ্ছে। হিংসার কোনও ওষুধ নেই। শুভ বুদ্ধি হোক। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর ওড়িশায় অত্যাচার।"
আরও পড়ুন- Dilip Ghosh: 'উনি ইমামদের ডেকে মিটিং করলেন, সম্মানিত করলেন', মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আর কী বললেন দিলীপ?
উল্লেখ্য, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন কর্মসূচিতে পুরীর মন্দিরের কোন কোন সেবায়েত উপস্থিত ছিলেন তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু করে দিয়েছে ওড়িশা সরকার। কোন কাঠ দিয়ে দিঘার জগন্নাথ দেবের মন্দিরের বিগ্রহ তৈরি হয়েছে সে ব্যাপারেও জানতে তৎপরতা নিয়েছে ওড়িশা প্রশাসন। ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান প্রশাসক অরবিন্দ কুমার পাধীকে চিঠি লিখে এই বিষয়ে আভ্যন্তরীণ তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন।