Mamata On Flood Situation In Bengal: বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবার ঘাটালে মুখ্যমন্ত্রী। জেলায় জেলায় পুজোর আগে বন্যা পরিস্থিতি। ডিভিসি জল ছাড়ায় রাজ্যের একাধিক জেলায় বন্যার ভ্রুকুটি। ২০০৯ সালের পর এত জল কখনও ছাড়া হয়নি বলে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর। পাশাপাশি মমতা এদিন বলেন, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বলেন, ' নিজেদের রাজ্যকে বাঁচাতে দিয়ে বাংলাকে ভাসিয়ে দিয়েছে'।
বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এদিন সকালে হুগলির পরশুরায় আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখান থেকে বন্যার কারণ হিসাবে ডিভিসিকে দুষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, " পরিকল্পনা করে বাংলাকে ডোবানো হয়েছে"। নিন্মচাপের জেরে লাগাতার বৃষ্টি তার জেরেই রাজ্যের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি। এদিন হুগলির আরামবাগ মহকুমার খানাকুল, পুরশুরা-সহ একাধিক বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনের পর মমতা গিয়েছেন ঘাটালে। খতিয়ে দেখছেন বন্যাপরিস্থিতি। কথা বলবেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গেও।
অভিষেকের মুখেও #JusticeForRGKar! জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে বিরাট বার্তা
নিন্মচাপের কারণে গত কয়েকদিন দক্ষিণ বঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হয়েছে। যদিও মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমলেও আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার বাসিন্দাদের। এর মধ্যেই জল ছাড়া শুরু করেছে ডিভিসি। ফলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতে সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। গোটা বিষয়ের উপর নজর রাখছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। এদিন হুগলির পুরশুরায় গিয়ে বন্যার জন্য ডিভিসির জল ছাড়াকেই কার্যত দায়ি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "সাড়ে তিন লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে, ম্যানমেড নয়, পরিকল্পনা করে বাংলাকে ডোবানো হয়েছে। নিজেদের রাজ্যকে বাঁচানোর জন্য" ।
'দ্রোহকাল, পুঞ্জীভূত ক্ষোভের আউটবার্স্ট', জাগো বাংলার পদ ছেড়ে বিস্ফোরক সুখেন্দু শেখর
মঙ্গলের পর বুধের সকালেও মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়েছে। পাঞ্চেত জলাধার থেকে এদিন প্রায় কয়েক হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। মঙ্গলবারের তুলনায় এদিন পাঞ্চেত থেকে ৪০ হাজার কিউসেক বেশি জল ছাড়া হয়েছে। অন্যদিকে মাইথন থেকে ছাড়া হয়েছে ৪০ হাজার কিউসেক জল। পাশাপাশি পাঞ্চেত থেকে ছাড়া হয়েছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার কিউসেক জল। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলে দুই জলাধার থেকে ছাড়া হয়েছে মোট ২ লক্ষ ৭৪ হাজার কিউসেক জল। অপর দিকে এদিন বুধবার দুই জলাধার থেকে ছাড়া হয়েছে ১ লক্ষ ৭০ হাজার কিউসেক জল।
হতবাক বিশ্ববাসী! রাহুল জিভ কেটে নেওয়ার হুমকি, সরাসরি মোদীকে এবার চিঠি
নবান্ন থেকে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারই রাজ্যের মন্ত্রীদের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন প্লাবিত এলাকাগুলি পরিদর্শনের জন্য। এদিকে বাংলায় বৃষ্টির পরিমাণ কমলেও পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে নাগাড়ে বৃষ্টিপাত অব্যাহত। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১০ জেলায় রাজ্যসরকারের ১০ সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের পাঠানো হয়েছে গোটা বিষয়ের তদারকির জন্য।