''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত ঠিক, দলের সিদ্ধান্ত সঠিক কিনা সময় বলবে'', জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় বললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। হাসপাতালে ঢোকার সময় পার্থ বলেছিলেন, ''আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।'' যা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
গতকালই রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আপাতত পার্থদাকে মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। শিল্প, বাণিজ্য সহ ওঁর হাতে থাকা সব দফতরই আমার কাছে এল।’ পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের মন্ত্রী ছিলেন।
সেই সঙ্গেই পরিষদীয়, তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরও তাঁর অধীনে ছিল। সব দফতর থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরই পাশাপাশি তৃণমূলের মহাসচিব, জাগো বাংলার সম্পাদক-সহ দলের সব পদ থেকেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার’, মাস্ক খুলে চিৎকার পার্থের
পদ হারানোর পর শুক্রবারই বোমা ফাটিয়েছেন পার্থ। জোকা ইএসআই হাসাপাতালে ঢোকার মুখে এদিন তিনি বলেন, 'আমি ষড়যন্ত্রের শিকার'। তবে কে বা কারা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন তা কিন্তু স্পষ্ট করেননি রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন এই মন্ত্রী।
এরপর হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময়েও ফের একবার সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন কারা ষড়যন্ত্র করেছেন বলে মনে করছেন? উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''যারা ষড়যন্ত্র করেছে, জানতে পারবেন। সময় বলবে।'' অন্যদিকে, তৃণমূলনেত্রীর তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানো ও অভিষেকের দলের সব পদ থেকে সরানো প্রসঙ্গে এদিন পার্থ বলেন, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত সঠিক। দলের সিদ্ধান্ত ঠিক কিনা সময় বলবে।''
আরও পড়ুন- হাউহাউ করে কাঁদতে কাঁদতে হাসপাতালে ঢুকলেন অর্পিতা, হুইল চেয়ারে বসে চেক-আপে পার্থও
এদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হইচই ফেলে দেওয়া এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চর্চা তুঙ্গে। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ''পার্থবাবু কার চক্রান্তের কথা বলছেন? ফেঁসে গিয়েছেন, এখন তো কিছু করার নেই। অনেক তথ্যই এবার সামনে আসবে। উনি যা জানেন এবার সেটা বলে দেওয়া উচিত।''
উল্টোদিকে, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ''চক্রান্ত হলে আইনের পথ তো খোলা। উনি আত্মপক্ষ সমর্থনের পূর্ণ সুযোগ পেয়েছেন। প্রথম সুযোগেই তো উনি নির্দোষ, এটা বলতে পারতেন। ৬ দিন পর দল গতকালই দল একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই আজ কে কি বললেন এর ওপর দাঁড়িয়ে আর কোনও মন্তব্য করতে চাই না।''