Lok Sabha Election 2024-Jalpaiguri: ধূপগুড়ি বিধানসভার খেলা ঘোরে ২০২৩-এর উপনির্বাচনে। তৃণমূল প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায় উপনির্বাচনে BJP প্রার্থী তাপসী রায়কে পরাজিত করেন। এবার জলপাইগুড়ি লোকসভা নির্বাচনেও ধূপগুড়িই যেন তৃণমূল কংগ্রেসের বাজি। ২০২৩-এ ধূপগুড়ি মহকুমা ঘোষিত হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দাবি, তাঁরা কথা দিয়ে কথা রাখেন। বিজেপি মনে করছে, ধূপগুড়ি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস যতই লম্ফঝম্ফ করুক জলপাইগুড়ির ফলের কোনও হেরফের হবে না। এবার ঝড়ের কোপেও পড়েছে এই ধূপগুড়ি (Dhupguri)। মোদ্দা কথা জলপাইগুড়ি লোকসভা নির্বাচনে বাড়তি গুরুত্ব থাকছে ধূপগুড়ির।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ধূপগুড়ি বিধানসভা এলাকা থেকে বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায় ১৭,৭৬৩ ভোটের লিড পেয়েছিলেন। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র বিজেপি প্রার্থী বিষ্ণুপদ রায় জিতেছিলেন ৪,৩৫৫ ভোটের ব্যবধানে। বিধায়কের মৃত্যুর পর ২০২৩ বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায় ৪,৩০৯ ভোটের ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থীকে পরাজিত করেন। সেই সময় প্রচারে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ধূপগুড়ি মহকুমা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যদিও বিরোধীদের দাবি ছিল, মহকুমা গঠন করা প্রশাসনের কাজ। তৃণমূল কীভাবে ঘোষণা করতে পারে?
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবারে নির্বাচনী জনসভায় বলেছেন, "গত বছর ২ সেপ্টেম্বর সভা করেছিলাম। তখন সভা থেকে ধূপগুড়িকে মহকুমা করার দাবি ওঠে। আমি বলেছিলাম ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মহকুমা হবে। কথা রেখেছিলাম। রাজ্য মন্ত্রিসভা ২০২৩ অক্টোবরে ধূপগুড়িকে মহকুমা করার সিদ্ধান্ত নেয়। হাইকোর্টে দু'মাস আটকে ছিল মহকুমা আদালতের অনুমতির জন্য।
১৯ জানুয়ারি সেই ফাইলও ক্লিয়ার হয়। মহকুমা হলে মানুষের পরিষেবা বাড়বে।" এভাবেই মানুষের কাছে সমর্থন চাইছে তৃণমূল। ধূপগুড়িকে সামনে রেখে জলপাইগুড়ি লোকসভায় প্রচার করছে মমতার দল। এখানে জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও (Narendra Modi)। সম্প্রতি ঝড়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধূপগুড়ি। স্বাভাবিকভাবে বিভিন্ন কারণে প্রচারের শিরোনামে চলে আসে ধূপগুড়ি।
একদিকে উপনির্বাচনে জয়, নয়া মহকুমা গঠন, ঝড়ের তাণ্ডব, সর্বোপরি ধূপগুড়ির জয়ী বিধায়ককে তৃণমূলের প্রার্থী করা। জলপাইগুড়ি লোকসভার অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রে ধূপগুড়ি। তবে বিজেপিও সহজে লড়াই ছেড়ে দিচ্ছে এমন নয়। তাঁরা পুরনো লিড ফিরে পেতে মরিয়া। এই লোকসভা কেন্দ্রে গত নির্বাচনে তৃণমূল একমাত্র লিড পেয়েছিল রাজগঞ্জ বিধানসভা এলাকা থেকে, ৪,৩২০ ভোটে। বাকি ৬টি বিধানসভা এলাকায় লিড ছিল বিজেপির।
আরও পড়ুন- UPSC-তে অকল্পনীয় সাফল্য বঙ্গতনয়ার! শ্রেষ্ঠত্বের ‘জগৎজোড়া’ স্বীকৃতি বাংলার আরও দুই কৃতীর
জয়ের ব্যবধান ছিল ১,৮৪, ০০৪। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ এই লোকসভার অন্তর্ভুক্ত। ময়নাগুড়ি ও ডাবগ্রাম ফুলবাড়িতে বিজেপির বিধায়ক। বাকি মেখলিগঞ্জ, ধূপগুড়ি, জলপাইগুড়ি, রাজগঞ্জ ও মাল বিধানসভা তৃণমূলের দখলে। এবার জমজমাট লড়াই জলপাইগুড়িতে।