২১ জুলাই ঘিরে চরম উন্মদনা। লোকারণ্য ধর্মতলা। বিগত বছরগুলিতে ২১য়ের মঞ্চে নানা চমক দেখা গিয়েছে। বাম, কংগ্রেস থেকে একাধিক হেভিওয়েট যোগ দিয়েছিলেন জোড়া-ফুলে। দু'বছর পর হওয়া তৃণমূলের শহিদ দিবসের মঞ্চে কী এবারও সেই চমকের সম্ভাবনা রয়েছে? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার ধর্মতলায় প্রস্তুচি দেখতে এসে বলেছিলেন '২১ মানেই চমক।' আর এ দিনই কলকাতায় পৌঁছেছেন বিজেপির উত্তরপ্রদেশের দুই সাংসদ মানেকা ও বরুণ গান্ধী। গান্ধী পরিবারের এই দুই পদ্ম সাংসদকে ঘিরেই আপাত নানা জল্পনা চলছে।
তবে কী ইন্দিরা গান্ধীর ছোট পুত্রবধূ ও পৌত্র পদ্ম ছেড়ে জোড়-ফুলের পতাকা হাতে নেবেন? এ নিয়ে কোনও পক্ষেই এখনও মুখ খোলেনি।
তাহলে ২১ জুলাই মানেকা ও বরুণের কলকাতায় আসার বিষয়টি পুরোটাই কাকতালীয়?
মোদী সরকারের নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে গত কয়েক বছরে মানেকা গান্ধী ও বরুণকে সরব হতে দেখা গিয়েছে। মন্ত্রীত্ব গেলেও ২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর থেকে বিজেপি মানেকাকে টিকিট দিয়েছিল। পদ্ম প্রতীকে বরুণ লড়েছিলেন পিলিভিট থেকে। দু'জনেই জয়ী হন। কিন্তু, সেনায় নিয়োগে অগ্নিপথ প্রকল্পই হোক বা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে চড়া জিএসটি চাপানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন বরুণ গান্ধী। অস্বস্তি বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের।
আরও পড়ুন- Live: রাজপথে জনজোয়ার, শহিদ স্মরণে জোড়াফুলের মেগা শো জমজমাট
এসবের মধ্যেই ২১ জুলাই মানেকা ও বরুণ এলেন কলকাতায়। ফলে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই বিষয়টি দুয়ে দুয়ে চার করছেন। জল্পনা যে, জাতীয়স্তরে বিশেষত উত্তরপ্রদেশের এই দুই সাংসদকে জোড়া-ফুল পতাকা ধরিয়ে একদিকে বিজেপিতে ভাঙন ধরানোর চেষ্টায় তৃণমূল। তবে জল্পনা সত্যি হলে তা হবে জাতীয়স্তরে এবারের ২১ জুলাইয়ের বড় চমক।
আরও পড়ুন- ২১ জুলাই ‘শহিদ দিবস’ কেন, কী ঘটেছিল সেদিন?