বিধানসভার অন্দরে ফের 'চোর', 'চোর' স্লোগান। বিতর্কের মাঝেই বিজেপি বিধায়কদের নিশানায় শাসকদ দল তৃণমূল। সোমবার বিধানসভার অভিবেশনে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে বক্তব্য রাখতে ওঠেন পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। তাঁকে দেখেই বিরোধী বেঞ্চ থেকে কটাক্ষ উড়ে আসে। কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক বলেতে থাকেন, 'মানিক চোর'-'মানিক চোর'। যাকে কেন্দ্র করে সভা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
টেট দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত হওয়ার পর হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে অপসারিত মানিক ভট্টাচার্য। পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ককে বহুবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জেরা করেছে। তাঁর কলকাতা, নদিয়ার বাড়িতে তল্লাশিও চালানো হয়। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল, মানিকবাবুর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিসও জারি হয়েছিল। তবে, গত মাসের শেষ দিকে বিধানসভায় এসে সিবিআইয়ের সেই দাবি খারজি করেছিলেন খোদ মানিক ভট্টাচার্য। বলেছিলেন, 'আমার কাছে যখন যখন যা যা নির্দেশ এসেছে। প্রত্যেকটি বিষয়ে আমি পুঙ্খানুপুঙ্খ পালন করেছি। কোনও সমস্যা নেই। কোনও অথরিটি আমার বিরুদ্ধে কোনও অর্ডার করেননি।'
আরও পড়ুন- ‘ডিপার্টমেন্ট থেকে ফাইল আসত-বিশ্বাস করে সই করতাম’, CBI জেরায় বিস্ফোরক পার্থ
সোমবার বিধানসভায় এসেছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। প্রশ্ন-উত্তর পর্বে তিনি বলতে ওঠেন। তখনই বিরোধী বেঞ্চ থেকে তাঁকে উদ্দেশ্য করে 'মানিক চোর'-'মানিক চোর' বলে কটাক্ষ করেন বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী। পাল্টা মানিকবাবু বলেন, 'দুর্নীতি যেসময় হয়েছে বলে বলছেন সেই সময়তো আপনিও এই দিকেই ছিলেন। অভিযোগ করেননি কেন?'
কিন্তু থামেননি মিহির গোস্বামী। উত্তপ্ত হয় বিধানসভা। পরে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। মিহির গোস্বামী বলেন, 'রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির পাণ্ডদের মধ্যে মানিক ভট্টাচার্য অন্যতম। এতদিন পর মানিকবাবুকে হঠাৎ বিধানসভায় দেখছি। উনি অর্থের বিনিময়ে বাংলার মেধাবি যুবক, যুবতীদের বঞ্চিত করে চাকরি চুরি করেছেন। মমতার সরকার চোরের সরকার, তাই ধিক্কার জানাই।'