গ্রেফতার যুব কংগ্রস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মুখ খোলার জেরেই কৌস্তভকে গ্রেফতার বলে দাবি কংগ্রেসের। 'সাগরদিঘি উপ-নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর হতাশা ও ভয় দুটোই একসঙ্গে কাজ করছে মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের'। কৌস্তভ গ্রেফতার ইস্যুতে এভাবেই তৃণমূলনেত্রীকে কটাক্ষ কংগ্রেস নেতা মনোজ চক্রবর্তীর।
ঠিক কী বলেছেন বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা?
মনোজ চক্রবর্তীর কথায়, 'কংগ্রেস আন্দোলনে নামবে। উনি বলবেন অথচ অন্য কেউ বললে তাঁকে গ্রেফতার করবে। আসলে সাগরদিঘির নির্বাচনের পরে হতাশা ও ভয় দুটোই একসঙ্গে কাজ করছে। উনি বলবেন তার পাল্টা কেউ কিছু বললে সহ্য করতে পারবেন না। স্বৈরাচারী শাসকের মতো গ্রেফতার করছেন। হাতে ক্ষমতা আছে বলেই এসব করছেন।'
আরও পড়ুন- গ্রেফতার কৌস্তভ, থানায় বিক্ষোভ কংগ্রেসের, ‘পাশে আছি, আইনি লড়াই চলবে’, বললেন অধীর
সাগরদিঘি উপ-নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফলপ্রকাশের পরই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে বিঁধে বেশ কিছু মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অধীর চৌধুরীর কন্যা ও গাড়িচালকের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আক্রমণের পরেই পাল্টা তাঁকে বিঁধে শনিবার সরব হয় কংগ্রেসও।
যুব কংগ্রসে নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি তৃণমূল সুপ্রিমোকে নিয়ে লেখা অবসরপ্রাপ্ত আইএএস দীপক ঘোষের লেখা বইটি ছড়িয়ে দেওয়ার কথা জানান। এরপরেই শনিবার ভোররাতে কৌস্তভের ব্যারাকপুরের বাড়িতে পৌঁছে যায় বড়তলা থানার পুলিশ। সকাল ৮ নাগাদ কৌস্তভকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। কৌস্তভকে বড়তলা থানায় আনা হলে থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, দল কৌস্তভের পাশে আছে। আইনি পথেই লড়াই চলবে বলে জানিয়েছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ।