ভয়াবহ আগুন হলদিয়ার ইন্ডিয়ান অয়েলের রিফাইনারিতে। মঙ্গলবার দুপুরে মক ড্রিলের পরেই বিপত্তি। মুহূর্তে আগুন লেগে তা ভয়াবহ আকার নেয়। অগ্নিকাণ্ডের জেরে কমপক্ষে ৩ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা। অগ্নিদগ্ধ অন্তত ৫০ জন। জখম অনেককে হলদিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতিতে তাঁদেরই কয়েকজনকে কলকাতার হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের মধ্যেও অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল মঙ্গলবার? জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে হলদিয়ার ইন্ডিয়ান অয়েলের রিফাইনারিতে মক ড্রিল চলছিল। আগুন লাগলে বা অন্য কোনও বিপর্যয়ের মোকাবিলা কীভাবে করা যাবে সেব্যাপারেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল কর্মীদের। এদিন সেই প্রশিক্ষণ চলাকালীন কোনওভাবে একটি ট্যাঙ্কার থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে দাবি একাংশের। তবে অন্য একটি অংশের দাবি, ঝালাইয়ের কাজ চলার জেরে আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়ে। কোনওভাবে রাসায়নিক তরলের সংস্পর্শে এসে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই ভয়াবহ আকার নেয় আগুন।
আরও পড়ুন- রাজ্যজুড়ে বাড়ল করোনার দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যু! স্বস্তি দিয়ে সাড়ে ৪৫০-র নীচেই কোভিড গ্রাফ
জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে আগুন লাগার পরেই তা মারাত্মক আকার ধারণ করে। কালো ধেঁয়ায় ঢেকে যায় চারিদিক। দাউ দাউ করতে জ্বলতে থাকে IOC-র রিফাইনারি প্ল্যান্ট। সেই সময়ে প্ল্যান্টের ভিতরেই ছিলেন শ্রমিক ও আধিকারিকরা। আগুন লাগার পরেই হুলস্থূল পড়ে যায় গোটা প্ল্যান্টে। ছোটাছুটি শুরু করে দেন প্রত্যেকে। অগ্নিকাণ্ডের জেরে কমপক্ষে ৫০ জন অগ্নিদগ্ধ হন। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা কাজ শুরু দেয় পুরোদমে। কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বিপদ এড়ানো যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থেল গিয়ে পৌঁছয় দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। ঘটনাস্থলে যান বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরাও।
বিধ্বংসী এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে কমপক্ষে ৩ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়াও অন্তত ৫০ জন এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের অনেকেই কলকাতার হাসপাতালে আনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে তাঁদেরও অনেকেরই শারীরিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক বলে জানা গিয়েছে।
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন