মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মতোই সোমবার থেকে রাজ্য জুড়ে চালু হয়ে গিয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির৷ প্রায় প্রতিটি জায়গায় এদিন সকাল থেকে শিবিরগুলিতে ছিল উপচে পড়া ভিড়৷ করোনা বিধি শিকেয় তুলে কাতারে-কাতারে মানুষ ভিড় করেন শিবিরগুলিতে৷ বিপুল সেই ভিড় সামাল দিতে কার্যত নাজেহাল দশা হয় পুলিশকর্মীদের৷ মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ে বহু জায়গাতেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়৷
রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি এদিন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারেও ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির চালু হয়৷ ভাতারের বলগোনা হাই স্কুলে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে সকাল থেকেই স্থানীয়দের ভিড় উপচে পড়ে৷ শিকেয় ওঠে করোনা বিধি৷ অধিকাংশ উপভোক্তার মুখেই দেখা যায়নি মাস্ক৷ একদিকে অত্যাধিক গরম অন্যদিকে মারাত্মক ভিড়ে বেশ কয়েকজন বাসিন্দা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন৷ কাউন্টারের সামনে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়।
আরও পড়ুন- দেশের কোভিড-গ্রাফে স্বস্তি, চিন্তা বাড়াচ্ছে দুই রাজ্যের সংক্রমণ পরিস্থিতি
ভিড় এড়িয়ে আগেভাগে সরকারি প্রকল্পের ফর্ম সংগ্রহে তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয়৷ প্রশাসনের তরফে শান্ত থাকতে অনুরোধ করা হয় প্রত্যেককে৷ বারবার করোনা নিয়ে সচেতনতার বার্তাও প্রচার করা হয় মাইকে৷ তবে ঘোষণাই সার৷ তাতে কর্ণপাত না করেই হুড়োহুড়ি জুড়ে দেন উপভোক্তাদের একটি বড় অংশ৷ স্কুল গেটের সামনে ঠেলাঠেলি শুরু হয়ে যায়। কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়াররা কোনওরকমে ভিড় সামাল দেন। গ্রামবাসীদের দাবি, ক্যাম্পের সংখ্যা বাড়াতে হবে। আরও কয়েকটি জায়গায় শিবির না করলে এই ভিড় আটকানো যাবে না বলেই দাবি তাঁদের। ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ কাউন্টারেই সবচেয়ে বেশি ভিড় হচ্ছে৷ প্রশাসনের কর্তারাও তা স্বীকার করেছেন৷ সেই কারণেই লক্ষ্মীর ভণ্ডার প্রকল্পের কাউন্টারের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে৷
এদিন দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের একটি স্কুলে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পে ফর্ম নিতে সকাল থেকে কয়েক হাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন৷ ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প পরিদর্শনে আসেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক বিভু গোয়েল-সহ আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকরা। গোটা কর্মসূচি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। করোনা বিধিনিষেধ মানতে সকলে মাস্ক ব্যবহার করছেন বলে জানান জেলাশাসক। এছাড়াও তিনি জানান, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্যই ভিড় হচ্ছে বেশি। কয়েক হাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছেন এই প্রকল্পের ফর্ম নিতে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন