ঘূর্ণিঝড়ের চোখরাঙানিতে বাড়ছে আতঙ্ক। দিন কয়েকের মধ্যেই রাজ্যে আছড়ে পড়তে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। এমনই আশঙ্কা বাড়ছে। যদিও এখনই এব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হতে শুরু করেছে।
সোমবার এই নিম্নচাপটি আরও গভীর হতে পারে। পরবর্তী সময়ে এটি অতি গভীর নিম্নচাপ হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। সেই ঘূর্ণিঝড়টিই আগামী ১০-মের মধ্যে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফের প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা রাজ্যে? এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে আবহাওয়ার পরিস্থিতি নিয়ে বড়সড় কোনও সতর্কবার্তা দেয়নি আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণ আন্দামান সাগরেই দানা বাঁধছে নিম্নচাপ। তারই জরে সমুদ্র উত্তাল হবে। আন্দামান ও লাগোয়া এলাকাগুলিতে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। পর্যটকদের গতিবিধিও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ধেয়ে আসতে চলেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়? জেনে নিন আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ আপডেট
অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে অসহ্য গরম না থাকলেও দিনে ভ্যাপসা গরম থাকছে। আপাতত আরও ২৪ ঘণ্টা দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বেশ কয়েকটি জেলায় আছড়ে পড়তে পারে কালবৈশাখী ঝড়ও। যদিও দিন দু'য়েক পর থেকেই ফের এক দফায় আবহাওয়ার বদল চেখে পড়বে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। বৃষ্টির পালা কাটিয়ে ফের ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে সেটির গতিপথ ঠিক কী হতে পারে বা ঝড়টি কেমন ক্ষতি করতে পারে, সে বিষয়ে আবহাওয়া দফতর এখনও পর্যন্ত সঠিকভাবে কিছু জানায়নি। ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আছড়ে পড়লে ওড়িশার কেন্দাপাড়া, ভদ্রক, জাজপুর, বালাসোর, ময়ূরভঞ্জ এবং কেওনঝাড়ে আঘাত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ওড়িশা উপকূলে ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়লে বিহার, ঝাড়খণ্ডে তুমুল বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আশঙ্কা। ৩-৪ দিন ধরে ওই রাজ্যগুলিতে এক নাগাড়ে বৃষ্টি হবে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর। কেরল তামিলনাড়ু, কর্ণাটক এবং পুদুচেরিতে আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা।