Advertisment

১২ দিনের লড়াই শেষ, মৃত্যু ময়নাগুড়ির নির্যাতিতার, 'দোষীরা তৃণমূলী', CBI চায় পরিবার

হল না শেষ রক্ষা। একটানা ১২ দিনের লড়াই শেষে সোমবার ভোরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হল ময়নাগুড়ির নির্যাতিতা তরুণীর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Maynaguri's tortured girl died, familiy wants cbi probe

সোমবার ভোরে হাসপাতালে মৃত্যু নির্যাতিতা তরুণীর। ছবি- সন্দীপ সরকার।

রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা নেই, সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব ময়নাগুড়ির মৃত নাবালিকার পরিবার। 'মেয়ের মৃত্যুতে দায়ী যুবকরা তৃণমূল আশ্রিত, নিরপেক্ষ তদন্ত করবে না পুলিশ', দাবি মৃতের পরিবারের।

Advertisment

শেষ রক্ষা হল না। একটানা ১২ দিনের লড়াই শেষ। সোমবার ভোরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হল ময়নাগুড়ির নির্যাতিতা তরুণীর। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ময়নাগুড়ির ওই নাবালিকার ওপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশী যুবক অজয় রায়ের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের তরফে।

তবে অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই অভিযুক্ত যুবক ও তার পরিবারের লোকজন শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য মেয়েটির পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে বলে অভিযোগ। এমনকী পুলিশি অভিযোগ না তুললে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয় নাবালিকাকে। এরপর চলতি মাসের ১৩ এপ্রিল অভিযুক্ত যুবকের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ নাবালিকার বাড়িতে চড়াও হয়। নাবালিকাকে অপহরণের হুমকি দেয়।

আরও পড়ুন- হাঁসখালি কাণ্ড: নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি-প্রমাণ লোপাট! ৩ জনকে গ্রেফতার করল CBI

এরপর গত ১৪ এপ্রিল গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে নির্যাতিতা কিশোরী। এই ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ। শেষমেশ ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ অভিযুক্ত যুবক-সহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করে।

এদিকে অগ্নিদগ্ধ কিশোরীর একটানা চিকিৎসা চলে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। টানা ১২ দিনের লড়াই শেষে সোমবার ভোরে মৃত্যু হয় অগ্নিদ্বগ্ধ কিশোরীর। অন্যদিকে, পুলিশি তদন্তে আর ভরসা রাখতে পারছে না মৃতের পরিবার।

তাঁদের দাবি, ''অভিযুক্তরা তৃণমূল আশ্রিত, সেই কারণেই পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করবে না''। এদিন সকালে কিশোরীর মৃত্যুর পর তাঁর বাবা ঝড়িয়া কান্ত রায় বলেন, ''রাজ্য পুলিশের ওপর এতটুকুও ভরসা নেই। অভিযোগ দায়েরের পর দু'বার অভিযুক্ত যুবক অজয় রায়কে আটক করলেও পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়। সিবিআই তদন্ত চাই।''

West Bengal West Bengal Police cbi
Advertisment