Premium: কেন রাজনীতিতে অনীহা তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর? জানুন ১০ কারণ
Mimi Chakraborty Resigned: বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মিমি। তবে তা গ্রহণ করেননি তৃণমূল সুপ্রিমো। এবার কী করবেন মমতা?
Mimi Chakraborty Resigned: বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মিমি। তবে তা গ্রহণ করেননি তৃণমূল সুপ্রিমো। এবার কী করবেন মমতা?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূলের তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী।
Why Mimi Chakraborty Resigned From Jadavpur MP Post: বিধানসভায় গিয়ে বৃহস্পতিবার তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে ইস্তফা দিয়েছেন যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। যদিও তা গ্রহণ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, সংবাদ মাধ্যমে রাজনীতি সম্পর্কে প্রবল অনীহা ও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন এই তারকা সাংসদ। সাফ দাবি করেছেন যে, তিনি আর ভোটে দাঁড়াতে চান না। মিমি জানিয়েছেন যে, যে দল তাঁকে টিকিট দিয়েছিল, কাজের সুযোগ দিয়েছিল, আগে সেই দলের নেত্রীকে সবটা জানিয়েছেন তিনি। এরপর নেত্রীর অনুমদ পেলেই তিনি সাংসদ পদের ইস্তফাপত্র লোকসভার স্পিকারের হাতে জমা করবেন।
২০১৯ সালে রেকর্ড ভোটে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে জয় পেয়েছিলেন ঘাস-ফুলের প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। এরপর কেটেছে পাঁচ বছর। তাহলে হঠাৎ মেয়াদ শেষের সময়ই আচমকা কেন রাজনীতি ছাড়ার কথা বলছেন মিমি? লক্ষ্মীবারে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সেই ব্যাখ্যাই দিয়েছেন যাদবপুরের সাংসদ।
'আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতি আমার জন্য নয়। কারণ, রাজনীতি করলে আমার মতো মানুষকে গালাগালি দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে যায় লোকে। আমি জেনেশুনে জীবনে কারও কোনও ক্ষতি করিনি।'
'আমি রাজনীতিক নই। কখনও রাজনীতিক হবও না। সবসময় আমি কর্মী হিসাবে মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছি।'
'আমি অন্য দলের কারও বিরুদ্ধেও কখনও খারাপ কথা বলিনি। নিজের দলের কাউকে নিয়েও কিছু বলিনি। বললেন সাংবাদিক বৈঠক করতাম।'
'আমি মানুষকে অনেক পরিষেবা দিয়েছি। কোমর অবধি জলে নেমে ত্রাণ দিয়েছি। আমফানে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। নিজের ফান্ড থেকে অনেক কাজ করেছি। এগুলো প্রচার করিনি।'
'আমি লোকসভায় কত দিন উপস্থিত থেকেছি, তা নিয়েই কিছু লোকের তাই নিয়ে মাথাব্যথা। যদি এক মাস দিল্লিতে থাকি, লোকে বলবে সাংসদ দিল্লিতে থাকেন, এখানে কাজ করেন না। আবার এখানে থাকলে বলা হবে, সংসদে আমার উপস্থিতি কম। আমাদের সব দিক ভারসাম্য রেখে চলতে হয়।'
'সাংসদদের ফান্ড কতটা ব্যবহার করা হয়েছে, তা দিয়ে কতটা কাজ করা হয়েছে, নির্দিষ্ট পোর্টালে গিয়ে সেই তথ্য দেখুন। এক নম্বরে কার নাম রয়েছে, এক বার দেখে নিন। এটা আমার গর্ব।'
'আমি রাজনীতি বুঝি না। নিজের কাজ প্রচার করতে পারি না।'
'রাজনীতিতে এলে সবসময় চালের প্যাকেট ধরে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে হয়। আমি সেটা করতে পারিনি। এটাও আমার রাজনীতি ছাড়ার অন্যতম কারণ।'
'আমি যত বার সংসদে গিয়েছি, গড়িয়ার উড়ালপুল নিয়ে, চম্পাহাটি উড়ালপুল নিয়ে, সোনারপুরের উড়ালপুল নিয়ে কথা বলেছি। কিন্তু রাজ্যের কথা তো ওঁরা শোনেন না। তাই মানুষ সেই পরিষেবাও পাননি। সেটা তো মানুষ বুঝছেন না। তারা ভাবছেন, সাংসদ আমাকে পরিষেবা দিতে পারেননি।'
'পরিষেবা দিতে গিয়ে আমি যে বাধাগুলো পেয়েছি, দিদিকে জানিয়েছি। তিনি দ্রুত পদক্ষেপ করবেন। দলের বিরুদ্ধে আমি কোনও দিন কোনও কথা বলিনি। দলনেত্রীর অনুমতি ছাড়া কোনও দিন সেটা করবও না।'