দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের নির্দিষ্ট কয়েকটি পয়েন্টে আন্ডারপাস তৈরির দবিতে এবার অভিনব প্রতিবাদ। জাতীয় সড়কে সাইকেল চালালেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্না। রবিবাসরীয় সকালে সাইকেলে জাতীয় সড়ক ঘুরলেন মন্ত্রীর অনুগামীরাও। এই সাইকেল মিছিলের জেরে রবিবার সকালে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে। গরমে প্রবল যানজটে দীর্ঘক্ষণ গাড়িতে থেকে নাকাল হতে হয়েছে বহু মানুষকে।
দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের হরিপাল, সিঙ্গুর ও চণ্ডীতলা ২ নং ব্লকের মোট ১১টি পয়েন্টে আন্ডারপাস ও সার্ভিস রোডের দাবিতে রবিবার সকালে একটি সাইকেল মিছিলের আয়োজন করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। হরিপালের কানগই মোড় থেকে ডানকুনি টোল প্লাজা পর্যন্ত সাইকেল মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না। মিছিলে ছিলেন বেচারাম মান্নার স্ত্রী তথা হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক করবী মান্নাও। তাঁদের সঙ্গেই বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক এদিন সইকেল নিয়ে দুর্গাপুর এক্সপ্রসেওয়ে দিয়ে মিছিল করেছেন।
সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারাম মান্না বলেন, ''জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে আবেদন করেছি। মুখ্যমন্ত্রীও চিঠি দিয়েছেন। তারপরও এখনও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে সদর্থক ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।'' মন্ত্রীর দাবি, জাতীয় সড়কে প্রায়শই ঘটা ছোট-বড় দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার মানুষ ও সাড়ে তিন হাজার গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘দয়া করে ফিটার মিস্ত্রীটিকে প্রচারে নামাবেন না’, তথাগত-র বোমা, কাকে নিশানা?
নির্দিষ্ট করে দেওয়া ১১টা পয়েন্টেই আন্ডারপাস করতে হবে। সেটা না হলে এই দুর্ঘটনা রোখা যাবে না বলেই মনে করছেন বেচারাম মান্না। দুর্গাপুর রোড চালু হলেও সার্ভিস রোডের কাজ শেষ হয়নি এখনও। ফলে গ্রামের মানুষকে জাতীয় সড়কে উঠেই যাতায়াত করতে হয়। চাষের কাজে যেতে বা ফসল নিয়ে বাজারে যেতেও জাতীয় সড়ক ধরেই যেতে হয় লাগোয়া গ্রামগুলির বাসিন্দাদের। জাতীয় সড়কে দিনভর হাজার-হাজার গাড়ির যাতায়াত। ঝুঁকিবহুল এই পথে প্রতি মুহূর্তে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সেই কারমেই আন্ডারপাসের দাবি আরও জোরালো হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা অমিয় ধাড়া বলেন, ''জাতীয় সড়ক এড়িয়ে এলাকার মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারেন, আমরা সেটাই চাই।'' উল্লেখ্য, এর আগে মন্ত্রী বেচারাম মান্নার নেতৃত্বে ধর্না অবস্থানে অংশ নিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। হুগলির জেলাশাসকের সঙ্গে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বৈঠকও হয়েছে। যে সব জায়গায় আন্ডারপাসের দাবি করা হয়েছে, সেই জায়গা পরিদর্শনও করেছেন সরকারি আধিকারিকরা। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরাও সেই সব জায়গা পরিদর্শন করেছেন। তবে এখনও কাজ শুরুর ব্যাপারে তাঁরা উদ্যোগী হননি বলে অভিযোগ। তাই আন্দোলন জারি রেখেই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সিঙ্গুরের বেচারাম।