এসএসসি-সহ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। এবার রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূলের দুই প্রাক্তন বিধায়কের স্বাক্ষর সম্বলিত তালিকা জমা পড়েছে আদালতে। এই তালিকা ইতিমধ্যে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। রামনগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির লেটার হেডে লেখা তালিকা ও নীচে বিধায়কের স্বাক্ষরও রয়েছে। এই তিন তৃণমূল নেতার তালিকা নিয়ে তুমুল শোরগোল পড়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে। কী বলছেন এই তিন তৃণমূল নেতা? তবে এই তালিকা সংক্রান্ত বিষয় এঁদের কারও মনে পড়ছে না।
ভাইরাল হওয়া তালিকাটি লেখা হয়েছে অখিল গিরির বিধায়ক লেটার হেডে। রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উল্লেখ রয়েছে। তালিকায় ২৬ জনের নাম রয়েছে। তাঁদের নামের পাশে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কাষ্ট লেখা রয়েছে। একেবারে নীচে ডানদিকে তারিখ-সহ স্বাক্ষর আছে অখিল গিরির। তবে কার উদ্দেশ্যে এই তালিকা তার উল্লেখ করা নেই।
রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, 'এটা আমি জানি না। এটা আমার মনে পড়ছে না। এরকম কোনও নামের তালিকা কাউকে দিয়েছে তাও মনে পড়ছে না। তালিকা জমা দিলে সেটা আমার বলে প্রমাণ হয় না। সেখানে কাউকে অ্যাড্রেস করে চিঠিও নেই। সইটা আমার কিনা সেটাও মনে করতে পারছি না। তবে আমার মনে হয় না যে আমি করেছি।'
আরও পড়ুন- দলের অবস্থানে ‘বিরক্ত’ মহুয়া, তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডেল আনফলো সাংসদের
অন্য একটি ৪৫ জনের তালিকা রোল নম্বর-সহ ভাইরাল হয়েছে। ওই তালিকায় নীচে একটি নাম হাতে লেখা রয়েছে। ডান দিকে নীচে বিধায়কের রাবার স্ট্যাম্প-সহ স্বাক্ষর রয়েছে বীজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের। এবিষয়ে শুভ্রাংশু বলেন, 'তলায় যে হাতে লেখা আছে রয়েছে তা আমার হাতে লেখা নয়। আমার লেটার হেডেও নয়। বিচারাধীন বিষয় তাই এর থেকে বেশি কথা বলা উচিত নয়।'
এদিকে হুগলির বলাগড়ের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অসীম মাঝির স্বাক্ষর সম্বলিত আরও একটি তালিকা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। অসীম মাঝির প্রতিক্রিয়া, 'আমি জানি না। ১০ বছর বিধায়ক ছিলাম। কত সময়ে কত রকম চিঠি লিখতে হয়। যতক্ষণ না সামনা-সামনি হচ্ছি ততক্ষণ বলতে পারব না। একঝলক দেখেছি। সুপার কম্পোজ-সহ নানা বিষয় হয়। এখন এর থেকে বেশি কিছু মন্তব্য করতে পারব না।'