/indian-express-bangla/media/media_files/2025/01/23/IC0I2zrfbPGafHyPOk8c.jpg)
Minor Student Kidnapped: বাড়ির সামনে থেকে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী নাবালিকা ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠল তিন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে
Minor Student kidnapped in Manikchak: বাড়ির সামনে থেকে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী নাবালিকা ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠল তিন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। গত ৭ দিন আগে এই অপহরণের ঘটনাটি নিয়ে মানিকচক থানায় অভিযোগ জানায় নাবালিকা ছাত্রীর পরিবার। কিন্তু এক সপ্তাহ পরেও ওই ছাত্রীর কোনও খোঁজ দিতে পারেনি পুলিশ। অবশেষে বৃহস্পতিবার বাড়ির একমাত্র মেয়েকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন অপহৃত ওই নাবালিকা ছাত্রীর পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচক থানার সাহেবনগর এলাকায়।
এদিন ওই নাবালিকা ছাত্রীর ছবি-সহ অভিযুক্ত সংশ্লিষ্ট এলাকার তিন যুবক ইব্রাহিম শেখ, রুহুল শেখ এবং সায়েন শেখের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নাবালিকা ছাত্রীর পরিবার। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৭ জানুয়ারি বিকেলে বাড়ি থেকে টিউশন যাওয়ার পথেই তিন যুবক মোটরবাইক এসে ওই নাবালিকা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ওই ছাত্রী মানিকচকের একটি হাইস্কুলের থেকে এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে।
আরও পড়ুন ফের খুন মালদায়! ভাড়া নিয়ে বচসার জেরে টোটোচালককে কুপিয়ে খুন
পুলিশকে অভিযোগে অপহৃত ছাত্রীর অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, গত ১৭ জানুয়ারি বাড়ি থেকে প্রাইভেট টিউশনে পড়ার জন্য বেরিয়েছিল মেয়ে। সেই সময় তিন যুবক দুটি মোটরবাইকে এসে মেয়েকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায়। সিসিটিভির ক্যামেরায় ফুটেজেও এই দৃশ্য ধরা পড়ে। এই ঘটনার পর পুলিশকে তিন অভিযুক্ত নাম ও পরিচয় দিয়ে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু তারপরেও ওই ছাত্রীর কোনও সন্ধান দিতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগে ওই নাবালিকা ছাত্রীর পরিবার জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরে অভিযুক্ত ইব্রাহিম শেখ ও তাঁর দলবল মেয়েকে রাস্তাঘাটে উত্যক্ত করছিল। ওকে রাস্তাঘাটে দেখলে কটুক্তিও করা হত। কয়েকদিন আগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এরকম ঘটনার প্রতিবাদ করেছিল ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তারপরই ১৭ জানুয়ারি বাড়ির সামনে থেকে ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্তেরা।
পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মানিকচক থানাকে।