Advertisment

ঠাকুরনগরে তাণ্ডব, গণধোলাইয়ে নিহত দুষ্কৃতী

এক হামলাকারী-সহ আট জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Thakurnagar

ছবি- গৌতম মণ্ডল

ভরা বাজারে ব্যবসায়ী ও তাঁর ভাইকে ধারালো অস্ত্রের এলোপাথাড়ি কোপ দুষ্কৃতীদের। রেহাই মিলল না দুষ্কৃতীদেরও। ব্যবসায়ীর আক্রমণকারীকে ব্যাপক গণধোলাই দিল স্থানীয়রা। সূত্রের খবর, গণধোলাইয়ে মৃত্যু হয়েছে আক্রমণকারী পার্থ সমাদ্দারের।

Advertisment
publive-image
ছবি- গৌতম মণ্ডল

মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগর বাজারে। ফল ব্যবসায়ী মনরঞ্জন মজুমদারের শরীরে একাধিক স্থানে ধারলো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারতে থাকে দুষ্কুতীরা। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রমণের শিকার হন তাঁর ভাই সুরঞ্জন মজুমদার। তার পেটে কোপ লেগেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় দুই ভাইকে চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বারাসত হাসপাতালে রেফার করা হয়। এদিকে গণধোলাইয়ে মৃত্যু হয়েছে আক্রমণকারী পার্থ সমদ্দারের। এই ঘটনায় আরও এক আক্রমণকারী সহ আট জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজ চলছে।

publive-image
ছবি- গৌতম মণ্ডল

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় ঠাকুরনগর রেলগেটে নিজের দোকানে ব্যবসা করছিলেন মনোরঞ্জন। অভিযোগ, সেই সময় হঠাৎই পার্থ সমদ্দার নামে এক পুরনো দুষ্কৃতী ও তার দলবল ধারাল অস্ত্র নিয়ে ব্যবসায়ীর উপরে হামলা চালায়। দাদাকে বাঁচাতে গিয়ে  আক্রান্ত হন ভাইও। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ঠাকুরনগর বাজারে। পালানোর সময় আক্রমণকারী পার্থকে ধরে গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা। আশঙ্কাজনকজনক অবস্থায় তাকেও বারাসাত হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, রাতে বারাসত হাসপাতালে পার্থর মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন- আবাস দুর্নীতি: বঙ্গে আসছে কেন্দ্রীয় দল, ‘বাজিমাত’- মনে করছে বিজেপি নেতারা!

আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের দাবি, একসময় পার্থ ঠাকুরনগর রেলগেট এলাকা থেকে তোলা আদায় করত। যা নিয়ে ফল ব্যবসায়ীর সঙ্গে পুরনো বিবাদ ছিল পার্থর। সেই বিবাদের কারণে এই হামলা হয়ে থাকতে পারে। ঠাকুরনগর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহসম্পাদক রতন বিশ্বাস বলেন, "পার্থ ও তার দলবল এর আগেও এক ব্যবসায়ীর উপরে হামলা চালিয়েছিল। গতকাল রাতে ফের পার্থও তার দলবল ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।" তিনি বলেন, এই ঘটনায় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত।

হামলা চালানোর ঘটানায় তনয় ঘোষাল নামে আরও এক আক্রমণকারীকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্য দিকে গণধোলাইয়ের ঘটনায় সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। ধৃতদের আজ বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্থর নামে অস্ত্র মামলায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।

police Barasat Criminal Cases
Advertisment